পাত্র/পাত্রী হিসেবে অযোগ্য সাংবাদিকরা!

প্রকাশঃ আগস্ট ২২, ২০১৫ সময়ঃ ৭:৫২ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৭:৫৭ অপরাহ্ণ

প্রতিক্ষণ ডেস্ক

Press-Hat

সাংবাদিকতা পেশা মানেই আকর্ষণীয় পেশা। অনেকেই মনে করেন এমটি। বিশেষ করে মেয়েরা মনে করেন এমনটি। যার কারণে এই পেশার ছেলেদের প্রতি মেয়েদের অন্যরকম এক আকর্ষণ তৈরি হয়। আর সেই সাংবাদিক ছেলেটি যদি হয় অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় তাহলে তো কথাই নেই। মেয়েদের চোখে আরও বেশি আকর্ষণীয় হয়ে উঠে ছেলেটি। অবশ্য ছেলেরাও সাংবাদিক মেয়েদের প্রতি বিশেষ আকর্ষণ বোধ করেন।

এই পেশার মানুষজন যতটা আকর্ষণীয় ঠিক ততটাই সঙ্গী হিসেবে কি আকর্ষণীয়? কিন্তু ততটা আকর্ষণীয় নয়। চলুন তবে দেখে নেওয়া একজন সাংবাদিক সঙ্গী হিসেবে আকর্ষণীয় না হওয়ার ১০টি কারণ:

সময়ের অভাব: সাংবাদিকদের পেশাটাই এমন যে কোনও কিছুর নির্দিষ্ট কোনও সময় নেই। খবরের খোঁজে তাদের হুটহাট এদিক-সেদিক চলে যেতে হয়। খবরের কভারেজের জন্য ছুটতে হতে পারে দূর-দূরান্ত। আর এই কারণে নিজের মনের মানুষকে একটু কমই সময় দিতে পারেন তারা। যদি মনের মানুষটি এই জিনিস মেনে নিতে পারেন তবেই জীবন সুখের হবে, নতুবা নয়।

খুঁতখুঁতে স্বভাব: একজন সাংবাদিকের পক্ষে আপনি সত্য বলছেন না মিথ্যা বলছেন তা ধরে ফেলাটা সহজ একটি কাজ। কারণ তাদের পেশাই এমন। নিজের পেশায় মনোনিবেশ করতে করতে বাস্তব জীবনেও তিনি এই কাজটি করেন। আপনি কী করছেন, কী পড়ছেন কথায় যাচ্ছেন-সবই খুঁটিয়ে লক্ষ্য করবেন তিনি। এখনকার যুগে এতটা খুঁতখুঁতে হওয়া অনেকেই পছন্দ করেন না। সুতরাং দ্বন্দ্ব তো হবেই।

reporter

কথা ধরার বিরক্তিকর অভ্যাস: পেশাগত কারনেই সাংবাদিকদের স্মৃতিশক্তি বেশ প্রখর হয়। আপনি যা বলবেন বা যা করবেন তার সবটা না হলেও খানিকটা তিনি মনে রাখবেন। এবং সবথেকে বড় সমস্যা হল সঠিক সময়ে আপনার কথা দিয়ে আপনাকেই খোঁচা দিয়ে কথা বলবেন তিনি। কারণ তাদের কাজটাই এমন। আর এ কারণে ঝগড়াটা একটু বেশিই বাঁধে। তাই সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক সুখের হয় না।

কথায় ব্যকরণগত ভুল ধরবে: সাংবাদিকদের কাজই এমন যে সব সময় কথার পিঠে কথা বলতে হয়। একজনের কথার ভুল খুঁজতে খুঁজতে তারা এমনই হয়ে যান যে তার প্রিয় মানুষটির কথাতেও ভুল খুঁজতে থাকেন। সেই সব কথা সব সময় কার শুনতে ভালো লাগবে বলুন?

জ্ঞান দেওয়াটা স্বভাব: সাংবাদিকদের কথা সাধারণ মানুষদের তুলনায় অনেক বেশি ব্যাকরণগত শুদ্ধ হয়। লিখতে লিখতে বা বলতে বলতে বাংলা ও ইংরেজি অভিধান তাদের ঘুমের মধ্যেও যেন তাড়া করে। সুতরাং যখনই তাদের সামনে একটু গোলমেলে শব্দ বা ব্যাকরণ বলবেন, তখনই তিনি আপনাকে জ্ঞান দিতে শুরু করবেন শিক্ষকের মতো। নিজের প্রেমিককে/প্রেমিকাকে শিক্ষক হিসেবে পছন্দ করবেন না অনেকেই। সুতরাং সংঘাত অবশ্যম্ভাবী।

অতিরিক্ত সন্দেহ প্রবণতা: খবরের মূল বিষয়বস্তু খুঁজতে খুঁজতে সাংবাদিকদের মনের মধ্যে সন্দেহ প্রবণতা বেশিই ঢোকে বোধহয়। আপনি একটি সাধারণ কথা বললেও তিনি কথাটিতে অন্য গন্ধ পেয়ে সন্দেহ করা শুরু করতে পারেন এবং সন্দেহ কোনও সম্পর্কের জন্যই সুখের হয় না।

reporter

সোশ্যাল মিডিয়ায় আসক্তি: ফেসবুক, ট্যুইটার, ইনস্টাগ্রামের মতো সোশ্যাল সাইটগুলির প্রতি অনেকেই কম-বেশি আসক্তি রয়েছে। কিন্তু সাংবাদিকদের আসক্তি একটু বেশিই হয়ে থাকে। তৎক্ষণাৎ কোনও খবর পেলেই ব্রেকিং ধরানোর তাড়ায় তারা অনেকটা সময়ই সোশ্যাল সাইটে কাটান। প্রেমিক/প্রেমিকার জন্য সময় কোথায়? এই কারণেই সুখের হয় না সম্পর্ক।

সাংবাদিকদের নিজেদের জন্য সময়ের প্রয়োজন: পেশাগত কারণেই হোক এবং নিজেকে আরও উন্নত করার জন্যই হোক- সাংবাদিকদের নিজেদের জন্য একটু সময়ের প্রয়োজন হয়। সারাক্ষণ কাজের মধ্যে থেকে তারা নিজেরাও বেশ বিরক্ত থাকেন। নিজেদের মন-মেজাজ ঠিক করার জন্য নিজেদের জন্যও তাদের খানিক সময় বের করতে হয়। এসবের মধ্যে প্রেমিক/প্রেমিকার দিকে ঠিক মতো নজর নাও যেতে পারে।

অর্থনৈতিক অবস্থা: একজন সাংবাদিক যত বেশিই খাটাখাটি করুন না কেন, একজন সৎ ও ন্যায়ের পথে চলা সংবাদিকের পক্ষে বিপুল অঙ্কের টাকা প্রতি মাসে আয় করা সম্ভব হয়ে উঠে না। সবথেকে বড় কথা হল, সাংবাদিকরা অনেক বেশি বাস্তববাদী হওয়ার কারণে তারা প্রেমিক/প্রেমিকার পেছনে একটু কমই ব্যয় করতে চান। এখানেই প্রেমিক-প্রেমিকা বা শ্বশুর-শাশুড়ির চোখে তাঁরা খলনায়ক হয়ে উঠতে পারেন।

তাঁরা মোটেও সংসারী নন: হ্যাঁ, সাংবাদিকেরা অনেক কিছু অনেক ভালো বোঝেন। কিন্তু তারপরেও সংসারের ক্ষেত্রে তাঁরা মোটেও বাস্তববাদী নন। দৈনন্দিন চাল-ডাল-নুন-আলুর হিসেব তাঁদেরকে দিয়ে হয় না। এমনকি নিজের সন্তানদের দিকেও মনোযোগ দিতে পারেন না তাঁরা।

প্রতিক্ষণ/এডি/ডিএইচ

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G