পায়ে হেঁটে গন্তব্যে ছুটছেন মৌলভীবাজারের মানুষ
মাহমুদ এইচ খান, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
১৪৪ ধারা জারির পর টানা ৪র্থ দিনের মতো শহরে যান চলাচল নিষিদ্ধ রয়েছে। উদ্বেগ আর আতঙ্কের মধ্যে পায়ে হেঁটেই গন্তব্যে ছুটছেন সাধারণ মানুষ। শহরের বাইরে থেকে বাস ও টেক্সি করে যাতায়াত করতে হচ্ছে সবাইকে। অভ্যন্তরীণ সকল যান চলাচল বন্ধ থাকায় সাধারণ মানুষকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এদিকে শহরের সকল দোকানপাটও বন্ধ রয়েছে।
মৌলভীবাজার পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের বড়হাট এলাকা। গত বুধবার ভোরে এই এলাকায় একটি বাসায় জঙ্গি আস্তানার সন্ধান পায় পুলিশ। পরে বাসাটি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘিরে রাখে। লাগাতার অভিযানে জঙ্গিদের উৎখাত করার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। তবে এ কয়দিনের বন্দি অবস্থার কারণে শহরবাসীর ভোগান্তি আর উদ্বেগ বেড়ে চলেছে।
এই এলাকায় কেউ প্রবেশ করতে পারছেনা। এমনকি নিরাপত্তার স্বার্থে রাস্তাঘাটে কাউকে চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছে না পুলিশের পক্ষ থেকে। এলাকাজুড়ে গুলি ও বোমার উচ্চ শব্দে কেঁপে উঠছে পুরো শহর। যার ফলে ভীতসন্ত্রস্থ এলাকাবাসীর অনেকে এলাকা ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।
সকাল থেকে কর্মজীবী নারী-পুরুষকে দীর্ঘ লাইন ধরে হেঁটে যেতে দেখা যাচ্ছে। এ সময় বেসরকারী অফিসের কর্মচারী কাজল রাণী জানান, ‘আজ তিনদিন থেকেই হেঁটে অফিস করতে হচ্ছে। ৪কি.মি পায়ে হেঁটে যাতায়াত খুবই কষ্টকর। প্রয়োজনে আরো শক্তিশালী বাহিনী দিয়ে জঙ্গিদের নির্মূল করতে হবে’।
বেঙ্গল ফুড এর এস.আর মো: রুবেল জানান, ‘ওয়াপদা গেট থেকে প্রায় ৭কি.মি পায়ে হেঁটে শহরের বাইরে দীঘির পার বাজারে যেতে হবে’।
ইরাইনগর এলাকার বাসিন্দা আজমল হোসেন বলেন, ‘কোনো টেক্সি চলতে দিচ্ছে না। আবার রোগীর কাছে হাসপাতালে খাবার নিয়ে যেতে হচ্ছে পায়ে হেঁটেই’।
এদিকে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, বাসাটিতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জঙ্গিরা রয়েছে। অভিযান শেষ হতে সময় লাগবে।
প্রতিক্ষণ/এডি/শাআ