পিলখানা হত্যা: শুনানির বেঞ্চ পুনর্গঠন
পিলখানা হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানির জন্য হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ পুনর্গঠন করা হয়েছে। বেঞ্চের কনিষ্ঠ বিচারক মোস্তফা জামান ইসলামের পরিবর্তে বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদারকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে বিদায়ী সাবেক প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেন এই বিশেষ বেঞ্চ গঠন করেন। বিচারপতি মো. শওকত হোসেনকে প্রধান করে তিন সদস্যের এ বেঞ্চ গঠন করা হয়।
এই বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ দুই বিচারপতি হলেন- বিচারপতি মো. শওকত হোসেন, বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী।
গত ৫ জানুয়ারি এই মামলা শুনানির জন্য কার্যতালিকায় এসেছিল। তবে ওই দিন ‘পেপারবুক’ প্রস্তুত না হওয়ায় মামলাটি শুনানির জন্য ১৮ জানুয়ারি পরবর্তী দিন রাখে আদালত।
বিশেষ এই বেঞ্চের বাইরে এই বিচারকদের নিয়মিত বেঞ্চও রয়েছে। নিয়মিত দায়িত্বে বিচারপতি মো. শওকত হোসেনের সঙ্গে দ্বৈত বেঞ্চেও বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার থাকছেন।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় সীমান্তরক্ষা বাহিনীর সদরদপ্তরে রক্তাক্ত বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন প্রাণ হারান। ওই ঘটনার পর ৫৭টি বিদ্রোহের মামলার বিচার হয় বাহিনীর নিজস্ব আদালতে।
আর হত্যাকাণ্ডের বিচার চলে বকশীবাজারে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত মহানগর দায়রা জজ আদালতের অস্থায়ী এজলাসে। ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. আখতারুজ্জামান ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর এই হত্যা মামলার রায় দেন।
এতে ১৫২ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। ১৬১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়। পাশাপাশি অস্ত্র লুটের দায়ে তাদের আরো ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা জারিমানা, অনাদায়ে আরো দুই বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারক।
এছাড়া ২৫৬ আসামিকে তিন থেকে ১০ বছর পর্যন্ত বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেয়া হয়। কারো কারো সাজার আদেশ হয় একাধিক ধারায়। অপরাধে সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত না হওয়ায় রায়ে ২৭৭ জনকে বেকসুর খালাস দেয় আদালত।
প্রতিক্ষণ/ এডি/আপন