পৃথিবীতেই রয়েছে ভিন গ্রহের প্রাণী !!
মুনওয়ার আলম নির্ঝর, প্রতিক্ষণ এক্সক্লুসিভ
বেশ কয়েকদিন আগে “মগজ ধোলাই” নামে একটি ব্লগার গ্রুপ কিছু ছবি শেয়ার করে তাদের ব্লগে। যেগুলোকে তারা অন্য গ্রহ কিংবা অন্য মাত্রার (dimension) মানুষের কর্মকান্ড বলে দাবি করছেন।
এব্যাপারে মগজ ধোলাই এর প্রতিষ্ঠাতা এবং গবেষক মাহিনের সাথে কথা হলে তিনি প্রতিক্ষণ ডট কমকে বলেন, “মগজ ধোলাই এর সদস্য জুয়েলের ক্যামেরায় আকাশের ছবি তোলার পর সেগুলো জুম করা হলে এই বিষয়গুলো আমাদের চোখে পড়ে।
মাহিন আরো দাবি করেন, ‘নাসা অনেক কথাই গোপন রাখে। তারা আমাদেরকে বোঝাতে চায় এলিয়েন বিশাল মাথাওয়ালা চিকন শরীরের অন্য কোন গ্রহের বুদ্ধিমান প্রানী। যারা স্পেস শীপে করে পৃথিবীতে নেমে আসে। কিন্তু এটা পুরোপুরি ঠিক না। এলিয়েন আসলে শুধু এমন না। পৃথিবীর মধ্যেই থাকে তারা। আমাদের পৃথিবীর মধ্যেই আরো একটা পৃথিবী রয়েছে। যেটাকে আমরা অন্তঃপৃথিবী (inner world) নামে চিনি।পৃথিবীর অভ্যন্তরে অনেক টানেল রয়েছে যেগুলোর মুখ সাধরণত বন্ধ থাকে। এর দু একটা মুখ সম্পর্কে আমরা জানি। এর একটি মুখ রয়েছে তিব্বতে। এছাড়াও ধারণা করা হয় ভ্যাটিকান সিটিতেও টানালের মুখ রয়েছে। অন্তঃপৃথিবীতে আমাদের(outer world) মত এত নেগেটিভ প্রভাব নেই। তাদের ওখানে সবাই এক। এসব কারণে তারা আমাদের চেয়ে অনেক বেশি প্রযুক্তিতে এগিয়ে গেছে। আন্তঃপৃথিবীর দুটি প্রসিদ্ধ শহরের নাম আগার্থা (agartha) এবং শাম্বালা (shambala)” ।
তিনি আরো বলেন, তারা যেহেতু আমাদের চেয়ে প্রযুক্তিতে অনেক এগিয়ে আছে তাই ওরা আমাদেরকে খুব সহজেই নিয়ন্ত্রণ করছে। আন্তঃপৃথিবী এবং বহিঃপৃথিবী(outer world) একই সময় কাজ শুরু করেছি কিন্তু তারা নেগেটিভ থেকে দূরে থাকার কারণে খুব দ্রুত এগিয়ে যায় এবং যাদের আমরা সাধারণত এলিয়েন বলে ধারণা করি। তবে ধারণা করা হয় অন্য গ্রহের এবং আমাদের গ্রহের নেগটিভ উপাদান থেকে আমাদের রক্ষা করার জন্য ইদানীং এরা আমদের সামনে (outer world) আসছে এবং আমদের বহিঃপৃথিবীর বিভিন্ন মানুষের সাথে অনেক প্রজেক্ট করছে। আমরা একটু চোখ-কান খোলা রাখলেই তা জানতে এবং ধরতে পারবো”।
তিনি বিশেষ ভাবে উল্লেখ করেন, পৃথিবী আবর্তনের একটা আলাদা মহাজাগতিক নিয়ম আছে যেটা সম্পর্কে আমরা সাধারণ মানুষ খুব কম জানি। এটাকে আবর্তনের প্রক্রিয়াকে বলা হয় precision of the equinox। মুলত এই আবর্তনের জন্য ২৬ হাজার বছর সময় লাগে। যার অর্ধেক সময়(১৩ হাজার বছর) সাধারণত বিভিন্ন উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন সভ্যতাগুলোর ধ্বংস হয়ে যায় এবং সাথে সাথে তাদের মহাজাগতিক প্রযুক্তিগুলোও। বাকি অর্ধেক সময়টাতে আবার পুনার্বৃত্তি ঘটে সেই প্রযুক্তিগুলোর এবং অন্য মাত্রার বুদ্ধিমান প্রানীরা এতে সাহায্য করে।ঠিক তের হাজার বছর আগে আটলাস সভ্যতা ধ্বংস হয়েছিল। তবে এটা সত্যি পৃথিবী দখলের জন্য এখনও চলছে ‘তারকা যুদ্ধ’। কারন পৃথিবীর রয়েছে আলাদা কিছু ক্ষমতা।
এলিয়েন সম্পর্কে বলতে গিয়ে প্রতিক্ষণ ডট কম কে লেখক এবং সাংবাদিক আব্দুল্লাহ নুহু বলেন, “এলিয়েন বিষয়টা আমার কাছে বিবেচনা করার মতো কিছু মনে হয়। কারণ, আমার মনে হয়, আমাদের বুদ্ধির মাত্রা সীমিত, পরীক্ষিত ও প্রমাণিত।
তবে একটা কথা বলতেই হয়, আমরা যদি আমাদের প্রাচীণ বা পূর্ব পুরুষদের কথা বলি, সেখানে এ ব্যাপারে মনে হয় অনেক হিন্ট দেওয়া আছে। মনে হয় তখন, আমাদের পূর্ব পুরুষেরা স্পেসশিপ এবং এলিয়েন দুটোই দেখেছেন। যার উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করা যায়, বিভিন্ন দেব-দেবী ও তাদের যুদ্ধ রথ।এছাড়া বর্তমান সময়ে পৃথিবীর নানা জায়গা থেকে বিচ্ছিন্নভাবে আনআইডেনটিফাইড ফ্লাইং অবজেক্ট বা ইউএফও দেখা যাওয়ার কথা এমনকি ছবিও দেখা গিয়েছে।”
তিনি আরো বলেন, তাছাড়া বিশ্বের বিশ্বাস করার মতো বড় বড় মানুষেরাও সম্প্রতি মুখ খুলছেন ইউএফও এবং এলিয়েনের ব্যাপারে।
এদিকে সিআইএর সাবেক সদস্য এডওয়ার্ড স্নোডেন তার ব্লগে দাবি করেন, ‘সিআইএ এর হয়ে বেশ কিছু এলিয়েন কাজ করেন। যারা গভীর সমূদ্রের মাঝে একটি ঘাঁটিতে অবস্থান করেন। সেখানে যাওয়ার অনুমতি সাধারণত বিজ্ঞানীদেরও নেই।’
তিনি আরো বলেন, ‘এখানে যারা আছেন তারা অন্য গ্রহের কেউ নয়। তারা আন্তঃপৃথিবীর আত্মা। তবে তারা প্রায় বিলিয়ন বছরের উপরে বেঁচে আছে। এখানে তারা সম্পূর্ণ আলাদা তাপমাত্রায় থাকে।’
এদিকে উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান এসেঞ্জ দাবি করেন, যে আমরা পৃথিবীতে এক নই। সেখানে তিনি ইউএফও এবং অন্য গ্রহের প্রাণীর কথাও উল্লেখ করেন। তিনি সিআইএ এর সেক্রেটারি, প্রেসিডেন্ট এবং বড় বড় কর্মকর্তাদের সাথেও অন্য গ্রহের বুদ্ধিমান প্রাণীদের সম্পর্ক রয়েছে বলে উল্লেখ করেন।
প্রতিক্ষণ/এডি/নির্ঝর
আরও যা পড়তে পারেনঃ
# তরুণদের শুক্রাণু হিমায়িত করে রাখার প্রস্তাব
# ঢাকার বায়ান্ন বাজার তেপ্পান্ন গলি’র ইতিহাস
# সন্তানকে বাচাঁনোর লড়াই মায়ের
# কলা সরাবে গলায় বাঁধা মাছের কাঁটা
# মিথ্যাবাদী শিশুদের স্মরণশক্তি ভালো
# যেকোনো বদভ্যাস দূর করার সূত্র