পৃথিবীর প্রথম নারী সিরিয়াল কিলারের ইতিহাস
ডেস্ক রিপোর্ট, প্রতিক্ষণ ডটকম:
“দ্যা ব্লাড কাউন্টেস” এর্জেবেত বাটোরিকে পৃথিবীর ইতিহাসের ভয়ঙ্করতম মহিলা সিরিয়াল কিলার হিসাবে কুখ্যাত। ধারণা করা হয় ,এই অভিজাত বংশীয়া ভদ্রমহিলা এবং তার সাঙ্গপাঙ্গ মিলে মাত্র ৯ থেকে ২৬ বছর বয়সী প্রায় ৬৫০ জন কুমারী কিশোরী/তরুনী/ যুবতীকে অতি নৃশংস ভাবে হত্যা করেছিলেন, যদিও অভিযোগ প্রমানিত হয়েছিল মাত্র ৮০টার !
ইনি পৃথিবীর ইতিহাসের প্রথম মহিলা সিরিয়াল কিলারও বটে । তাকে নিয়ে যেটা সবচেয়ে বেশি প্রচলিত সেটা হচ্ছে, চির যৌবনা থাকার বাসনায় তিনি ঐসব কুমারী মেয়েদের রক্ত দিয়ে গোসল করতেন !
এর্জেবেত বাটোরি (৭ই আগস্ট ১৫৬০-২১শে আগস্ট ১৬১৪) হাঙ্গেরির এক ধনী ও অভিজাত বাটোরি বংশের কাউন্টেস ছিলেন । বাটোরি আগে থেকেই বিভিন্ন বলি দেয়ার রিচ্যুযালে যাতায়াত করতেন এবং সেইখান এক বৃদ্ধাকে তিনি ব্যঙ্গ করলে বৃদ্ধা তাকে শীঘ্রই বৃদ্ধা হয়ে যাবার পাল্টা অভিশাপ দিয়েছিলেন । এরপর থেকেই তার চির যৌবনার ব্যাপারটা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। একদিন এক চাকরানী তার চুল আচরাতে গিয়ে একটা চুল তুলে ফেলে,আর এতে বাটোরি ভয়াবহ খেপে গিয়ে মেয়েটারে পেটাতে শুরু করে। ক্রমাগত আঘাতের ফলে মেয়েটারে মুখ দিয়ে রক্ত পরা শুরু হয়, এই রক্ত বাটোরির হাতে পরাতে হঠাৎ তার কেন জানি মনে হয় যে, হাতের যেখানে রক্ত লেগেছে সেখানকার দাগ অদৃশ্য হয়ে গেছে ! তারমানে রক্তের কারণে তার ত্বক যৌবন ফিরে পেয়েছে। দুই জাদুকরী ও জানালো যে কম বয়সীকুমারী যুবতীদের রক্ত যৌবন ধরে রাখতে সাহায্য করে । সাথে সাথেই দর্কোরে দিয়ে ওই মেয়েকে কেটে, চিড়ে তার রক্ত দিয়ে গোসল করার ব্যবস্থা করে ফেললেন !
বলা হয়ে থাকে উনি যেভাবে কুমারি মেয়েদের অত্যাচার করতেন তার মধ্যে ক্রমাগত বেত্রাঘাত এবং চাবুক দ্বারা আঘাত (যতক্ষন না চামড়া ফেটে রক্ত বের হয়ে আসত), আগুনে পোড়ানো, অঙ্গহানি, না খাইয়ে রাখা উল্লেখযোগ্য ।
প্রতিক্ষণ/এডি/পাভেল