পৃথিবীর ১০ আশ্চর্য (পর্ব ১)
প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ
পৃথিবীতে এমন অনেক আশ্চর্য জিনিস রয়েছে যা আমাদের একই সাথে মুগ্ধ ও অবাক করে। বিভিন্ন স্থাপত্য ও নির্মাণ রয়েছে বিশ্বজুড়ে, যা সেই সময়কার মানুষদের অপূর্ব দক্ষতার নিদর্শন হয়ে আজো টিকে আছে। কোন উন্নত প্রযুক্তি ছাড়াই তারা এত মহৎ সৃষ্টি কীভাবে সম্ভব করলো তা আমাদের ভাবনার খোরাক যোগায়।
চলুন কাউন্টডাউন পদ্ধতিতে অর্থ্যাৎ উল্টো দিক থেকে দেখি পৃথিবীর এমন কিছু আশ্চর্য জিনিস।
১০। রোমান বাথ কমপ্লেক্স – বিখ্যাত রোমান বাথ কমপ্লেক্স সামারসেটের একটি ঐতিহাসিক গুরুত্ব সংবলিত স্থান। ভবনটি রোমান স্থাপত্য শৈলীতে নির্মিত রোমান জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত গোসলের স্থান ছিল। এটি আসলে আগের গোসলখানার ধ্বংসস্তুপের উপর নির্মাণ করা হয়েছে। ষষ্ঠ শতকে আসল বাথ কমপ্লেক্সটি ধ্বংস হয়ে যায়। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে এটি পুনর্নির্মান করা হয়। শেষবার এর পুনর্নির্মান করা হয় ১৮০০ শতকে।
এই বাথ কমপ্লেক্সটি দেখতে প্রতি বছর ১০ লাখেরও বেশি মানুষ জড়ো হয়। ২০০৫ সালে টিভি শোতে একে বিশ্বের ৭ আশ্চর্যের অন্যতম আশ্চর্য বলে চিহ্নিত করা হয়।
৯। পিসার হেলানো টাওয়ার – ইতালির পিসা নগরীতে ১১৭৩ সালের ১৪ আগস্ট প্রথম এই টাওয়ারটি নির্মাণ করা হয়। এই টাওয়ারটি ডান দিকে হেলে পড়ার কারণে বিখ্যাত। হেলে পড়লেও এত বছরেও অক্ষত রয়েছে।
৮। কলোসিয়াম – কলোসিয়াম মুলত রোমের ফ্লেভিয়ান বংশের রঙ্গভূমি বা গ্যালারি। এই উপবৃত্তাকার গ্যালারিটি ইতালির রোমের কেন্দ্রে অবস্থিত। রোমের ইতিহাসের সর্বাপেক্ষা বড় স্থাপত্যের মধ্যে কলোসিয়াম একটি। এই বৃত্তাকার স্থাপত্যটি থেকে রোমান ফোরামের পূর্ব দিকের দৃশ্য দেখা যায়। এই রঙ্গভূমি বা গ্যালারিটি গ্ল্যাডিয়েটর যুদ্ধ, নাটক, পশু শিকার প্রভৃতির মতো খেলার জন্য তৈরি করা হয়েছিল।
৭। চিচেন ইতজা – ৪০০ খ্রিস্টপূর্বে মায়া সভ্যতার লোকেরা চিচেন তৈরি করে, যা বর্তমান মেক্সিকোতে অবস্থিত। চিচেনের একটি গল্প রয়েছে যা দেড় হাজার বছর পুরনো এবং এটি মেরিডা থেকে ৭৫ মেইল দূরে অবস্থিত। বলা হয়ে থাকে যে, এই এলাকাটি বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মূল আঞ্চলিক কেন্দ্র ছিল। প্রথম দিকে এটি পুরোহিতদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হত। চিচেন মানে, “ইতজার ভালোর মুখে।” ইতজা একটি গোত্রের নাম।
প্রধাণ বিশ্বাসটি হলো, উঁচু থেকে যেসব মানুষকে ফেলে দেওয়া হত দেবতার উদ্দেশ্যে বলি দিয়ে, তাদের মধ্যে যারা বেঁচে যেত তারা দর্শকে পরিণত হত।
৬। হাজিয়া সোফিয়া – হাজিয়া সোফিয়া অনুপম স্থাপত্যের এক অনন্য নিদর্শন। প্রথমে এটি ছিল পিতৃতান্ত্রিক খ্রিস্টান চার্চ, পরবর্তীতে মুসলমানদের মহান মসজিদ। বর্তমানে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে অবস্থিত হাজিয়া সোফিয়াকে জাদুঘরে পরিণত করা হয়েছে। এই জাদুঘর দেখতে প্রতি বছর সাড়ে ৩ লক্ষের মতো দর্শক ভীড় জমায়।
১৬১৬ সালে সুলতান আহমেদ মসজিদটি নির্মাণের আগে এটাই ইস্তাম্বুলের প্রধাণ মসজিদ ছিল। হাজিয়া সোফিয়া অন্যান্য অনেক অটোমান মসজিদ নির্মাণের পেছনে অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছিল। এসব মসজিদের মধ্যে অন্তর্ভূক্ত আছে, নীল মসজিদ, শেহজাদ মসজিদ, সুলেমানিয়া মসজিদ প্রভৃতি।
প্রতিক্ষণ/এডি/সাদিয়া