ক্রীড়া ডেস্ক
এ যেন বাঘ-সিংহের লড়াই, কে বলবে ফিফার র্যাঙ্কিংয়ে ১২তম দল ক্রোশিয়া খেলছে ২৪তম দল জাপানের বিপক্ষে। ৯০ মিনিট তো ১-১ গোলে সমান তালে খেলেছে জাপান। অতিরিক্ত ১৫+১৫=৩০ মিনিটেও মাথা নত করেনি। শেষ মেষে পেনাল্টি শূটআউটে গেলে গের জাপান।
লিড নিয়েও তা ধরে রাখতে পারেনি জাপান। পেনাল্টি শূটআউটে ৩-১ ব্যবধান, পর ২টি পেনান্টি মিস করা জাপান পারবে না এটা বোঝা হয়ে গিয়েছি। জাপানের ১০ নম্বর মিস কররেন, এরপর ক্রোশিয়ার ১৩ নম্বর গোল দিলেন, জাপানের দ্বিতীয় শূটে ৯ নম্বর মিস করলেন। ক্রোশিয়ার ১১ নম্বর গোল দিলেন (২-০)। তৃতীয় শূটে জাাপনের ১৮ নম্বর গোল পেলে ২-১ হয়। ক্রোশিয়ার তৃতীয় শূটে মিস করলেন ১০ নম্বর (২-১)। ৪র্থ শূটে জাপানের ২২ নম্বর মিস করলে ইতিহাস রচনা করলে ক্রোশিয়ানর গোলরক্ষক। যা বিশ্বকাপ ফুটবলে ইতিহাস। এরপর ৪র্থ শূটে ক্রোশিয়ার একটি গোল হলেও চলত, কারণ হাতে ছিল ২টি সুযোগ। ৪র্থ শূটে ক্রোশিয়ার ১৫ নম্বর ঠিকই গোল আদায় করলে ৩-১ ব্যবধােনে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে যায়।
ম্যাচের শুরুতেই এশিয়ার জায়েন্ট খ্যাত জাপান গোলের জন্য মরিয়া হয়ে চেষ্টা চালায়। কিন্তু ফিফার র্যাঙ্কিংয়ে ১২তম দল আর ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপের রানারআপ দল ক্রোশিয়াকে গোল দেয়াটা সহজ কাজ ছিল না। কিন্তু ২০২২ সালের জাপান দলটা অন্য জিনিস, সেটা তো জার্মানিকে হারিয়েই প্রমান দিয়েছে এ আসরে।
প্রধামর্ধের শেষ দিকে ক্রোশিয়ার ডিফেন্স ভেঙ্গে দিতে সক্ষম হয় জাপান, এগিয়ে গেল। ডাইজেন মাইধার গোলে লিড নেয় জাপান (১-০)। প্রথমার্ধে ১ গোলে এগিয়ে থাকা জাপান লিড ধরে রাখতে পারেনি ক্রোশিয়ার চাপের মুখে।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধের ৫৫ মিনিটে ইভানের দেয়া গোলে ক্রোশিয়া ম্যাচে সমতায় ফেরে (১-১)। ৯০ মিনিটের পর অতিরিক্ত ৪ মিনিটেও ১-১ ব্যবধানে খেলা শেষ হয়।
যেহেতু এটা নকআউট পর্ব, তাই ম্যাচটি অতিরিক্ত আরো ৩০ মিনিটের খেলায় চলে যায়। অতিরিক্ত সময়ের শুরুতে ক্রোশিয়া চেপে ধরে জাপানকে। কিন্তু জাপানের দেয়াল ভাঙ্গা সম্ভব না হরেও গোলের সুযোগ সৃষ্টি করে।
অতিরিক্ত সময়ের শেষ দিকে জাপানের কাউন্টার এ্যাটাকে নিশ্চিত গোল হজম থেকে বাঁচিয়ে দিলেন গোলরক্ষক। অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয়ার্ধে ক্রোশিয়া আক্রমণে দিশেহারা জাপান। মুহু মুহু আক্রমণেও গোল পেল না ক্রোশিয়া। জাপানের বিপক্ষে পেনাল্টি শূটআউটের ঝুঁকিতে যেতে চায়নি। সে কারণে গোলের জন্য শেষ দিকে মরিয়া ক্রোশিয়াকে পেনাল্টি কিকেই যেতে হলো।