প্রতিবেশী সম্পর্কে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি

প্রকাশঃ মার্চ ১৪, ২০১৫ সময়ঃ ১২:৩৭ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৩:৪৫ অপরাহ্ণ

ধর্ম চিন্তা ডেস্ক, প্রতিক্ষন ডটকম:

imagesরাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সব মুসলমানেরই প্রিয়। অসংখ্য অমুসলিমও তাঁকে সম্মান করেন ও মর্যাদা দিয়ে থাকেন। হজরত মুহাম্মদ সা:-এর প্রভাব পারলৌকিক ও ইহজাগতিক, উভয় ক্ষেত্রেই বিস্তৃত।

রাসূল মুহাম্মদ সা: আমাদেরকে ইসলাম শিখিয়েছেন। আর ইসলাম শিক্ষা দেয় প্রতিবেশীদের প্রতি সদয় ও সুবিবেচিত আচরণের। ধর্ম, বর্ণ, সম্প্রদায় ইত্যাদি নির্বিশেষে পড়শিরা আমাদের কাছ থেকে মর্যাদা ও মানবিকতার দাবিদার।

বলা হয়েছে, হজরত জিবরাঈল আলাইহিস সালাম প্রতিবেশীর প্রতি সদাচরণের বিষয়ে রাসূল সা:কে জোর দিয়ে বলেছিলেন।

এ প্রসঙ্গে নবী করীম সা: উল্লেখ করেন, একপর্যায়ে তিনি ভেবেছিলেন, জিবরাঈল আ: প্রতিবেশীদের সম্পত্তির উত্তরাধিকার পর্যন্ত দিয়ে দেবেন। তাদের সাথে সদয় আচরণের ব্যাপারে তিনি এত বেশি গুরুত্ব দিয়েছিলেন। (আল বুখারী)

আল্লাহতায়ালার মহান বাণী মানব জাতিকে পৌঁছিয়ে দেয়াই ছিল রাসূলুল্লাহ সা:-এর লক্ষ্য। আল-কুরআনে আল্লাহ প্রতিবেশীর ব্যাপারে আদেশ দিয়ে বলছেন, আল্লাহর ইবাদত করো এবং ইবাদতের বেলায় আর কাউকে শরিক করো না তাঁর সাথে এবং মাতা-পিতা, আত্মীয়-স্বজন, এতিম, দরিদ্র, সে প্রতিবেশী যে তোমার নিকটাত্মীয়, আর যে প্রতিবেশী তা নয়, তোমার পার্শ্ববর্তী সঙ্গী, অসহায় পথচারী (যার সাথে সাক্ষাৎ ঘটে), নিজের দাস-দাসী; তাদের সাথে সদ্ব্যবহার করো। নিশ্চয়ই, আল্লাহ তাদের পছন্দ করেন না, যারা অহঙ্কারী ও দাম্ভিক (আন-নিসা, আয়াত নম্বর-৩৬)।

যেসব নারী-পুরুষ মহানবী সা:-এর আশপাশে থাকতেন, তাঁদের সবসময়েই মনে করিয়ে দেয়া হতো আল্লাহতায়ালার প্রতি এবং পরস্পরের প্রতি বাধ্যবাধকতা সম্পর্কে। প্রায় সময়ে শোনা যেত, রাসূল সা: তাদের সৎ কাজ করতে এবং দায়িত্বের কথা মনে রাখতে তাগিদ দিচ্ছেন। রাসূল সা: বলেছেন, আল্লাহ ও শেষ (বিচারের) দিনে যে বিশ্বাস করে, সে যেন প্রতিবেশীর ক্ষতি কিংবা তাকে বিরক্ত না করে (আল বুখারী)।

উম্মুল মুমিনীন হজরত আয়েশা রাদিআল্লাহ তায়ালা আনহা রাসূলুল্লাহ সা:কে জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘কোন প্রতিবেশীকে উপহার দেবো?’ তিনি জবাব দিলেন, যার দরজা তোমার দরজার সবচেয়ে কাছে (মুসলিম)। যদিও নিকটতম প্রতিবেশীর কথা বলা হচ্ছে, আমাদের মনে রাখা চাই ইসলাম সব প্রতিবেশীর খোঁজখবর নিতে এবং তাদের সাহায্য করতে বলে। এটা হলো, বৃহত্তর সমাজে অন্যদের অভাব ও চাহিদা উপলব্ধি করার ব্যবস্থা।

যখন কেউ সত্যিকার অর্থেই ইসলামের শিক্ষা অনুধাবন করতে সক্ষম হন, তিনি বুঝতে পারেন যে, সমাজের কোনো একজন সদস্য দুর্ভোগ পোহালে তা পুরো সমাজেরই কষ্টের নামান্তর। বিপদ-আপদ আর দুর্যোগ-দুর্বিপাকে কিংবা প্রয়োজনের সময়ে আমরা পরিবারের পরে প্রতিবেশীদের ওপরই সবচেয়ে বেশি নির্ভর করে থাকি।

প্রতিক্ষণ/ এডি/আকিদ

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G