প্রবীণ চিয়ারলিডারদের গল্প
প্রতিক্ষণ ডেস্ক:
অপরূপ সাজে বর্ণিল পোশাকে দর্শকদের সামনে একদল তরুণীর শারীরিক কসরত, কখনোও গানের সঙ্গে কিংবা বিশেষ কোন অনুষ্ঠানে তাদের নৃত্য প্রদর্শন। চেয়ারলিডার নামেই এদের পরিচিতি বিশ্বময়। মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা ছাড়াও বয়সে তরুণী, দেখতে আকর্ষণীয় হওয়া চেয়ারলিডারদের অনন্য বৈশিষ্ট্য হলেও একবারেই ব্যতিক্রম জাপানের পমপম প্রতিষ্ঠানের চিয়ারলিডাররা। প্রতিষ্ঠানটিতে গঠন করা হয়েছে ২৮ সদস্যের একটি দল। বয়স সর্বনিম্ন ৫৫ থেকে ৮০-র ওপরে। অদ্ভুত এ দলের সদস্যদের গড় বয়স ৭০।
বয়সের ভারে মুখের চামড়া জড়িয়ে গেলেও এ নারীরা তাদের কাজে বেশ উদ্যমী ও উচ্ছল। গত দুই দশক ধরে অসাধারণ পারফরম্যান্স করে আসছেন প্রবীণ এই চেয়ারলিডাররা । অচিরেই অবসরে যাওয়ার কোনো লক্ষণই তাদের মধ্যে নেই।
৮৪ বছরের ফুমি তানাকো প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা। এমনকি তিনি ওই চিয়ারলিডার দলের একজন সক্রিয় সদস্যও। বয়সের কথা বিবেচনায় না নিয়ে দুই দশক আগে তার চেয়ে বয়সে বড় পাঁচজন বান্ধবীকে নিয়ে তিনি শুরু করলেন অনুশীলন। ধীরে ধীরে বিশ্বে দলটির সুনাম ছড়িয়ে পড়ে, যা আজও বিদ্যমান।
ব্যতিক্রমধর্মী এ চিয়ারলিডার দল গঠনের বিষয়ে ফুমি তানাকো বলেন, আমেরিকার চিয়ারলিডারদের জমকালো পারফরম্যান্সও এ পেশায় আসতে আমাকে উৎসাহ জুগিয়েছিল। এ দলে যোগ দিতে হলে বয়স ৫৫ বছরের নিচে হওয়া যাবে না। দলের সদস্য বাড়াতে নতুন করে নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করা হবে।
গত বছর প্রতিষ্ঠানটির ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। বছরটি স্মরণীয় করে রাখতে জাপানের বার্ষিক ইউনাইটেড স্প্রিট অ্যাসোসিয়েশনের (ইউএসএ) জাতীয় প্রতিযোগিতায় বেশ আটঘাট বেঁধে নেমেছিলো ‘প্রবীণ’ চিয়ারলিডারা।
প্রতিক্ষণ/এডি/এস.টি