প্রাণঘাতী ফুল অ্যাগ্রোস্টেম্মা গিথাগো

প্রকাশঃ ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৫ সময়ঃ ১২:৫০ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ১২:৫০ অপরাহ্ণ

ডেস্ক রিপোর্ট, প্রতিক্ষণ ডটকম:

article-0-1FA7FD4E00000578-301_306x423কথায় আছে যে মানুষ ফুল ভালোবাসে সে কখনও মানুষ হত্যা করতে পারে না। কিন্তু ঘটনাটা যদি এরকম হয় যে, স্বয়ং ফুলই মানব মৃত্যুর কারণ তখন কিন্তু সত্যিকারের বিপদের কথা। তেমনি এক প্রাণঘাতী ফুলের সন্ধান পাওয়া গেছে যুক্তরাজ্যের সান্ডারল্যান্ড এলাকার ন্যাশনাল ট্রাস্ট লাইটহাউজের কাছাকাছি এক জায়গায়। ফুলটি দেখতে সুন্দর হলেও এই ফুলের কারণে মৃত্যু ঘটতে পারে মানুষের।

লাইটহাউজের সহকারী পরিদর্শক ডগি হোল্ডেন এই নতুন কাটাযুক্ত ফুলটি আবিস্কার করেন। বিশেষজ্ঞদের ধারণা পৃথিবীর বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া ফুলগুলোর মধ্যে এটি একটি। এযাবৎ পৃথিবীর কোনো প্রান্তেই এই ফুলের কোনো অস্তিত্বের খবর পাওয়া যায়নি। তাই ধারণা করা হচ্ছে একমাত্র সান্ডারল্যান্ডের লাইটহাউজে জন্মানো এই ফুল গাছটিই একমাত্র গাছ।

ফুলটিতে গ্লিসারিন এবং অ্যাগ্রোস্টেম্মা গিথাগো নামের এডিস থাকায় তা মানব শরীরের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এই ফুলের কাটার সামান্যতম স্পর্শে মানুষের শারিরীক অবস্থার অবনতি ঘটতে পারে। প্রাথমিক লক্ষন হিসেবে আক্রান্তদের পেটে ব্যথা, বমি বমি ভাব, ডায়রিয়া, দুর্বলতা এবং শ্বাসকষ্টে সমস্যা দেখা দিতে পারে। যা পরবর্তীতে ধীরে ধীরে মানুষকে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যেতে পারে। বিজ্ঞানীরা ফুলটির নাম দিয়েছেন অ্যাগ্রোস্টেম্মা গিথাগো।

বিজ্ঞানী হোল্ডন বলেন, ‘এই ফুলটি খুব বিষাক্ত। এটা ছুলেই মৃত্যু ঝুঁকি। আমার জীবনেও আমি কখনও এই ফুল দেখিনি। ফুলটি বিষাক্ত কিন্তু আমি আনন্দিত। আমাদের উচিত এই ফুলটিতে চাষের ব্যবস্থা করা। কারণ কে বলতে পারে হয়তো ভবিষ্যতে এই ফুল আমাদের অনেক কাজে দেবে।’

রয়্যাল হর্টিকালচারাল সোসাইটির প্রধান উপদেষ্টা গে বার্টার বলেন, এই ফুল পৃথিবীর আর কোথাও নেই। এবং এটা খুব ভয়ংকর। ফুলটি পুরোপুরি বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল। মটির নিচে সুপ্ত অবস্থায় কোনোভাবে এই ফুলের বীজটি ছিল, যা থেকে বর্তমান গাছের জন্ম।’

বিখ্যাত নাট্যকার সেক্সপিয়েরের লেখায় এই ফুলের কথা উল্লেখ ছিল। সেসময় এই ফুলকে প্রাণঘাতী কাজে ব্যবহার করা হতো। এই ফুলের ভেতর যে বিষ পাওয়া যায় তা প্রায় কয়েক শত বছর আগে আবিস্কৃত হয়।

প্রতিক্ষণ/ এডি/সাইমন

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G