ফাল্গুনী মাতাল হাওয়া, বইমেলায়
নিজস্ব প্রতিবেদক
আজ পহেলা ফাল্গুন, ১৪২২ বঙ্গাব্দ। ঋতুরাজের প্রথম দিন। কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের অমর পঙক্তিতে, ‘ফুল ফুটুক না ফুটুক/আজ বসন্ত।’তাই দিনের সকালটা শুরু হয়েছিল একটু অন্যরকমভাবে;বসন্তপ্রেমী আর বইপ্রেমীদের পদচারনায় মূখরিত হয়ে উঠেছে মেলা প্রাঙ্গন।
শীতের রিক্ততা মুছে দিয়ে প্রকৃতিজুড়ে আজ সাজ সাজ রব। হিমেল পরশে বিবর্ণ প্রকৃতিতে জেগে উঠছে নবীন জীবনের প্রাণোল্লাস। নীল আকাশে সোনাঝরা আলোকের মতই হূদয় আন্দোলিত। আহা! কি আনন্দ আকাশে বাতাসে..। ‘আহা আজি এ বসন্তে/ এত ফুল ফোটে এত বাঁশি বাজে এত পাখি গায়…।
বসন্ত মানেই পূর্ণতা। তেমনি বইমেলা মানেই জীবনের জয়গান ।
একুশে বইমেলা বার্তা নিয়ে আসে ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’। এ মাসেই ভাষা আন্দোলনের মধ্যদিয়ে বাঙালির স্বাধীনতার বীজ রোপিত হয়েছিল। একুশেই বাঙালি মুক্তিযুদ্ধ শুরু করেছিল। তাই কেবল প্রকৃতি আর মনে নয়, বাঙালির জাতীয় ইতিহাসেও একুশ আসে এক বিশেষ মাহাত্ম্য নিয়ে। বইমেলা হয়ে উঠেছে এক অনন্য উৎসব।
সকাল ১১টায় মেলার প্রবেশপথ খুলে দেওয়ার পরই-শুরু হতে থাকে বইপ্রেমী মানুষের আনাগোনা । একুশে বইমেলা শুরুর দ্বিতীয় শনিবার এমন দৃশ্য দেখা গেছে চার লাখ ৭৮ হাজার বর্গফুট বিস্তৃত পরিসরে। তারপরও আজ বসন্তের পয়লা দিনে নানা আয়োজনে আলোড়িত হবে বইমেলা। বেলাবাড়ার সাথেসাথে ভিড় বাড়বে বইমেলায়। বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান মুখর হয়ে উঠবে বইপ্রেমীদের পদচারণায়। এমনটাই প্রত্যাশা লেখক-প্রকাশকের ।
প্রতিক্ষণ/এডি/ফর/