সম্প্রতি পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের বিভিন্ন এলাকায় খাবার পানির লাইন কেটে দিয়েছে ইসরায়েলের পানি সরবরাহকারী কোম্পানি। এর মধ্যেই ফিলিস্তিনের খাবার পানিতে বিষ মেশানোর আহ্বান জানালেন যাজক সোলায়মান।
তুরস্কের সংবাদপত্র ডেইলি সাবাহ জানিয়েছে, ইহুদি যাজক পরিষদের প্রধান সোলায়মান। তিনি প্রকাশ্যে এক নির্দেশ জারি করেছেন। তাতে তিনি পশ্চিম তীরে দখলদার ইসরায়েলের সেটেলারদের ফিলিস্তিনিদের খাবার পানিতে বিষ মেশানোর আহ্বান করেছেন।
এর আগেও ইহুদি যাজকরা ফিলিস্তিনিদের সম্পদ চুরি করা ও তাদের জয়তুন বাগানের ফসল নষ্ট করাকে বৈধ বলে ফতোয়া দিয়েছিলেন।
ইহুদি যাজকের এ ফতোয়ার প্রতিবাদ জানিয়েছে পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ। এক বিবৃতিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ফিলিস্তিনিদের খাবারের পানিতে বিষ মেশানোর ফল ভালো হবে না বলে হুঁশিয়ারি করেছে। একই সঙ্গে, এই ফতোয়া দেওয়া ইহুদি যাজককে গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়েছে।
এদিকে, রমজানের শুরুতে ইসরায়েলের রাষ্ট্রীয় পানি সরবরাহকারী কোম্পানি দখলীকৃত পশ্চিম তীরে পানি সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। ইসরায়েলের পানি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান মেকোরত ফিলিস্তিনি শহরগুলোতে পানি সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ায় জেনিন শহর, নাবলুস ও তার আশেপাশের গ্রাম এবং সালফিত ও তার আশেপাশের গ্রামগুলোতে পানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে।
মঙ্গলবার (১৪ জুন) প্যালেস্টিনিয়ান হাইড্রোলজি গ্রুপ-এর নির্বাহী পরিচালক আইমান রাবি জানান, কিছু কিছু এলাকার অধিবাসীরা ৪০ দিনেরও বেশি সময় ধরে পানি পাচ্ছেন না। তিনি বলেন, ‘এসব এলাকার জনগণ পানি সরবরাহকারী ট্রাক থেকে পানি কেনা এবং স্থানীয় জলাধার এবং কুয়োর পানি পান করছেন।’ কিছু উপদ্রুত এলাকায় ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ পানি সরবরাহ করছে। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন প্রত্যেক পরিবারকে দুই, তিন বা দশ লিটার পানি সরবরাহ করা হচ্ছে।’
জেনিন শহরে প্রায় ৪০ হাজার মানুষ বাস করেন। জানা গেছে, সেখানকার পানি সরবরাহ অর্ধেকে নেমে এসেছে। গ্রীষ্মকালের খরতাপে পানি সরববরাহ বন্ধ করে দেওয়ায় কোনও বিপর্যয় ঘটলে, সেজন্য মেকোরত দায়ী থাকবে বলে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
জাতিসংঘের মতে, স্বাভাবিক অবস্থায় একজন সাধারণ মানুষের প্রতিদিন ন্যূনতম সাড়ে সাত লিটার পানি দরকার। কিন্তু ফিলিস্তিনের কিছু কিছু এলাকার তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসেরও বেশি, সেখানকার মানুষদের পানির চাহিদা স্বাভাবিকভাবেই আরও বেশি হবে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ যে পানি সরবরাহ করতো, তাতে পশ্চিমতীরের একজন ফিলিস্তিনি গড়ে ৬০ লিটার পানি পেতেন। যেখানে পশ্চিমতীরের একজন ইসরায়েলি সেটেলারকে প্রতিদিন গড়ে ৩৫০ লিটার পানি সরবরাহ করা হয়।
উল্লেখ্য, ১৯৬৭ সালে ইসরায়েল ফিলিস্তিনের পশ্চিমতীর এবং গাজা দখল করার পর থেকেই ফিলিস্তিনিদের পানি সরবরাহের জন্য ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে।
প্রায় ৫ লাখ ইসরায়েলি সেটেলার ২৩০টিরও বেশি অবৈধ বসতিতে বসবাস করছে। ১৯৬৭ সালের যুদ্ধে পশ্চিম তীর ও পূর্ব বায়তুল মুকাদ্দাসসহ ফিলিস্তিনের যেসব অঞ্চল ইসরায়েল দখল করে সেসব অঞ্চলেই গড়ে তোলা হয়েছে এসব অবৈধ বসতি। জাতিসংঘের ইশতেহার ও আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী এসব বসতি প্রতিষ্ঠা অবৈধ হওয়া সত্ত্বেও ইসরায়েল ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড দখল ও সেখানে অবৈধ বসতি স্থাপন অব্যাহত রেখেছে।
সম্প্রতি পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের বিভিন্ন এলাকায় খাবার পানির লাইন কেটে দিয়েছে ইসরায়েলের পানি সরবরাহকারী কোম্পানি। এর মধ্যেই ফিলিস্তিনের খাবার পানিতে বিষ মেশানোর আহ্বান জানালেন যাজক সোলায়মান।
তুরস্কের সংবাদপত্র ডেইলি সাবাহ জানিয়েছে, ইহুদি যাজক পরিষদের প্রধান সোলায়মান। তিনি প্রকাশ্যে এক নির্দেশ জারি করেছেন। তাতে তিনি পশ্চিম তীরে দখলদার ইসরায়েলের সেটেলারদের ফিলিস্তিনিদের খাবার পানিতে বিষ মেশানোর আহ্বান করেছেন।
এর আগেও ইহুদি যাজকরা ফিলিস্তিনিদের সম্পদ চুরি করা ও তাদের জয়তুন বাগানের ফসল নষ্ট করাকে বৈধ বলে ফতোয়া দিয়েছিলেন।
ইহুদি যাজকের এ ফতোয়ার প্রতিবাদ জানিয়েছে পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ। এক বিবৃতিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ফিলিস্তিনিদের খাবারের পানিতে বিষ মেশানোর ফল ভালো হবে না বলে হুঁশিয়ারি করেছে। একই সঙ্গে, এই ফতোয়া দেওয়া ইহুদি যাজককে গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়েছে।
এদিকে, রমজানের শুরুতে ইসরায়েলের রাষ্ট্রীয় পানি সরবরাহকারী কোম্পানি দখলীকৃত পশ্চিম তীরে পানি সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। ইসরায়েলের পানি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান মেকোরত ফিলিস্তিনি শহরগুলোতে পানি সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ায় জেনিন শহর, নাবলুস ও তার আশেপাশের গ্রাম এবং সালফিত ও তার আশেপাশের গ্রামগুলোতে পানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে।
মঙ্গলবার (১৪ জুন) প্যালেস্টিনিয়ান হাইড্রোলজি গ্রুপ-এর নির্বাহী পরিচালক আইমান রাবি জানান, কিছু কিছু এলাকার অধিবাসীরা ৪০ দিনেরও বেশি সময় ধরে পানি পাচ্ছেন না। তিনি বলেন, ‘এসব এলাকার জনগণ পানি সরবরাহকারী ট্রাক থেকে পানি কেনা এবং স্থানীয় জলাধার এবং কুয়োর পানি পান করছেন।’ কিছু উপদ্রুত এলাকায় ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ পানি সরবরাহ করছে। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন প্রত্যেক পরিবারকে দুই, তিন বা দশ লিটার পানি সরবরাহ করা হচ্ছে।’
জেনিন শহরে প্রায় ৪০ হাজার মানুষ বাস করেন। জানা গেছে, সেখানকার পানি সরবরাহ অর্ধেকে নেমে এসেছে। গ্রীষ্মকালের খরতাপে পানি সরববরাহ বন্ধ করে দেওয়ায় কোনও বিপর্যয় ঘটলে, সেজন্য মেকোরত দায়ী থাকবে বলে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
জাতিসংঘের মতে, স্বাভাবিক অবস্থায় একজন সাধারণ মানুষের প্রতিদিন ন্যূনতম সাড়ে সাত লিটার পানি দরকার। কিন্তু ফিলিস্তিনের কিছু কিছু এলাকার তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসেরও বেশি, সেখানকার মানুষদের পানির চাহিদা স্বাভাবিকভাবেই আরও বেশি হবে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ যে পানি সরবরাহ করতো, তাতে পশ্চিমতীরের একজন ফিলিস্তিনি গড়ে ৬০ লিটার পানি পেতেন। যেখানে পশ্চিমতীরের একজন ইসরায়েলি সেটেলারকে প্রতিদিন গড়ে ৩৫০ লিটার পানি সরবরাহ করা হয়।
উল্লেখ্য, ১৯৬৭ সালে ইসরায়েল ফিলিস্তিনের পশ্চিমতীর এবং গাজা দখল করার পর থেকেই ফিলিস্তিনিদের পানি সরবরাহের জন্য ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে।
প্রায় ৫ লাখ ইসরায়েলি সেটেলার ২৩০টিরও বেশি অবৈধ বসতিতে বসবাস করছে। ১৯৬৭ সালের যুদ্ধে পশ্চিম তীর ও পূর্ব বায়তুল মুকাদ্দাসসহ ফিলিস্তিনের যেসব অঞ্চল ইসরায়েল দখল করে সেসব অঞ্চলেই গড়ে তোলা হয়েছে এসব অবৈধ বসতি। জাতিসংঘের ইশতেহার ও আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী এসব বসতি প্রতিষ্ঠা অবৈধ হওয়া সত্ত্বেও ইসরায়েল ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড দখল ও সেখানে অবৈধ বসতি স্থাপন অব্যাহত রেখেছে।