‘আমি মনে করি দুই দলই সমান সামর্থ্যের দল। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কিন্তু ঘরের মাঠের সুবিধা অনেক বড় বিষয়। সেদিক থেকে আমরা সিরিজটিতে ফেবারিট হিসেবেই শুরু করব। আমরা শ্রীলঙ্কাকে ছোট করে দেখতে পারব না। ওদের বেশ কয়েকজন খুবই ভালো ক্রিকেটার আছে। নিশ্চয়ই ওরা নিজেদের সামর্থ্য দেখাতে চাইবে’।- ম্যাচের আগেরদিন সংবাদ সম্মেলনে নিজ দলের সম্ভাবনার ব্যাপারে তিনি একথা বলেছেন।
অন্য দুই ফরম্যাটের তুলনায় ওয়ানডে ক্রিকেটে এগিয়ে বাংলাদেশ দল। বিশেষ করে ঘরের মাঠে রীতিমতো অপ্রতিরোধ্য তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসানরা। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপের পর থেকে মাত্র ১টি হোম সিরিজ হেরেছে বাংলাদেশ, বিপরীতে জিতেছে ৯টি, হারিয়েছে ভারত-পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দলগুলোকেও।
এমনকি চলতি বছরের শুরুতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে হারলেও, ওয়ানডেতে ৩-০ ব্যবধানেই জিতেছিল টাইগাররা। সেই সিরিজের পর তিন ফরম্যাট মিলিয়ে সবশেষ দশ ম্যাচের একটিতেও জেতেনি বাংলাদেশ। এখন আরও একটি ওয়ানডে সিরিজের সামনে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ। সিরিজটি ঘরের মাঠে হওয়ায় নিজেদের ফেবারিট মানছেন স্বাগতিক হেড কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো।
নিজেদের ফেবারিট বললেও, সাম্প্রতিক সময়ের হতাশাজনক ফলগুলো ভোলেননি ডোমিঙ্গো, ‘আমরা দুঃসময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি, সন্দেহ নেই। তবে ভুল থেকে শিখতে হবে, ঘুরে দাঁড়াতে হবে। অতীতে পড়ে থাকার কোনো যৌক্তিকতা নেই। আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারলে, বেসিক ঠিক রাখতে পারলে, কৌশল কাজে লাগালে জয়ের সুযোগ আসবে।’
এ সময় ডোমিঙ্গো জানান, দলের সাফল্যের জন্য বেসিক কাজগুলো ঠিক রাখলেই তা যথেষ্ঠ হবে। তার ভাষ্য, ‘আমাদের বেসিক কাজগুলো ঠিকঠাক করতে হবে। এটি করতে পারলে নিজেদের সুবিধাজনক অবস্থায় দাঁড় করানো যাবে। সাম্প্রতিক সময়ে ওয়ানডেতে আমাদের বেসিক ভালো হচ্ছে না। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ভালো খেলেছি। দলের আত্মবিশ্বাস তলানিতে নামছে। তাই এখন খুব জটিল করে ভাবার কিছু নেই। বেসিক ঠিক রাখলেই হবে। এই ফরম্যাটে এটুকু করতে পারলেই সাফল্য সম্ভব।’
সিরিজের বাংলাদেশের এগিয়ে থাকার কারণ অবশ্য শ্রীলঙ্কার স্কোয়াডের মধ্যেও আছে। ২০২৩ বিশ্বকাপের জন্য দল সাজানোর কথা ভেবে দিমুথ করুনারাত্নে, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ, দিনেশ চান্দিমালদের মতো সিনিয়র খেলোয়াড়দের ছাড়াই বাংলাদেশে এসেছে লঙ্কানরা। তবে তাদের এই তরুণ দলকে হালকাভাবে নেয়ার পক্ষে নন বাংলাদেশের কোচ। তিনি অপেক্ষায় আছেন দুই দলের টপঅর্ডারের জমজমাট লড়াই উপভোগের।
ডোমিঙ্গো বলেছেন, ‘শ্রীলঙ্কা দুই-একজন বড় খেলোয়াড়কে বাইরে রেখে এসেছে। ওদের (দিনেশ) চান্দিমাল নেই, (অ্যাঞ্জেলো) ম্যাথিউজ নেই। আবার কুশল পেরেরা ও কুশল মেন্ডিসের মতো মানসম্পন্ন খেলোয়াড় আছে। তাই আমার কাছে মনে হয় বিষয়টা প্রায় একই। তাদের তরুণ দলটি আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলতে চাইবে। তবে আমার ছেলেরা ভালো প্রস্তুতি নিয়েছে, টপঅর্ডার ভালো করছে। দুই ব্যাটিং অর্ডারের লড়াই দেখতে আমিও উদগ্রীব হয়ে আছি।’