বগুড়ার শাজাহানপুরে সরকারি সম্পত্তি বিক্রি!
বগুড়া প্রতিনিধি
বগুড়া শাজাহানপুরের গোহাইল স্কুল এন্ড কলেজের সরকারি সম্পত্তিতে ক’দিন পুর্বে পাকা বাড়ী করেছে ঐ গ্রামের মৃত সুরেনের ছেলে সুনীল। এ নিয়ে এলাকায় বিভিন্ন রকম গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে।
কিন্তু ঐ ভুমিটি বিক্রি করা হয়েছে ? লীজ দেওয়া হয়েছে ? নাকি গোপন আঁতাতে ছেড়ে দেয়া হয়েছে ? সমালোচনা সহ এলাকায় এমনই নানা প্রশ্ন দানা বাধলেও সঠিক তথ্য জানাচ্ছেন না ঐ কলেজের অধ্যাক্ষ মোঃ মোতাহার হোসেন (মুকুল)।
স্থানীয় জনসাধারন জানিয়েছেন, গোহাইল হাইস্কুলটি ১৯৪৭ সালে ৭ একর ৮৪ শতক জমির উপর প্রতিষ্ঠিত হয়। এলাকায় শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে ও বিশাল এই ভুমিটির যথাযথ ব্যাবহার নিশ্চিত করতে ২০০০ সালে স্কুল ভূমিতেই প্রতিষ্ঠা করা হয় কলেজ। নামকরণ করা হয় গোহাইল স্কুল এন্ড কলেজ। প্রতিষ্ঠানটির এ ভুমিতে ৭ বিঘা, ৬ বিঘা ও ২৪ শতক করে মোট ৩ টি পুকুরও আছে। পুকুরগুলো লীজ দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি প্রতিবছর কয়েক লক্ষ টাকা আয় করে।
এলাকায় অভিযোগ রয়েছে, আয় আনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটির অবকাঠামো উন্নয়ন করা হয়না। এছাড়াও ইদানিং ঐ স্কুল এন্ড কলেজের ভূমিতে স্থানীয় সুনীল নামে এক ব্যাক্তি গড়ে তুলেছেন বাড়ি। তাও আবার পুকুরের ভিতর থেকে ইটের গাঁথুনী দিয়ে। প্রকাশ্য দিবালোকে এভাবে সরকারী সম্পত্তিতে বাড়ি নির্মান ও কলেজের অধ্যাক্ষ মোতাহার হোসেনের নীরবতা স্থানীয় জনসাধারনকে রীতিমত ভাবিয়ে তুলেছে।
প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি অসুস্থ থাকায় ম্যানেজিং কমিটির সদস্য হারুনুর রশিদ ও মোঃ মোকছেদ আলী বলেন, আমরা এ সম্পর্কে কিছুই জানিনা।
তাই এলাকার সাধারন মানুষের নানা প্রশ্ন আর অভিযোগ থাকলেও উত্তর মিলছেনা।
তবে জনতার ক্ষুব্ধ মনোভাব বুঝতে পেরে হয়তো জমিটি লীজ দেখানো হতে পারে, এমন সন্দেহ করছেন অনেকেই। শুধু তাই নয়, প্রতিষ্ঠনটির সীমানা প্রাচীরের বাহিরে রাখায় সন্দেহ আর সমালোচনা উঠেছে তুঙ্গে।
জনক্ষোভের কারন ও প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের জন্য গোহাইল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যাক্ষ মোতাহার হোসেন মুকুলের নিকট এ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি রাগাম্বিত হয়ে বলেন, ‘এটা কলেজের বিষয়। এ সম্পর্কে সাংবাদিকদের কোন প্রশ্নের উত্তর দিতে আমি বাধ্য নই’।
এ দিকে কলেজ সম্পত্তিতে বাড়ী করার বিষয়টি নিয়ে শাজাহানপুর উপজেলা সহকারী ভুমি কমিশনার রীভা চাকমার নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ সংক্রান্ত কোন অনুমতি চাওয়া হয়নি এবং দেশের আইন অনুযায়ী সরকারের অনুমতি ব্যাতিত রাষ্ট্রীয় ভুমিতে ইমারত নির্মান অবৈধ। তাই কিভাবে ও কোন আইনের ফাঁক ফোকরে ইমারত নির্মানকে বৈধতা দেওয়া হয়েছে তা জানতে চায় স্থানীয় জনসাধারন।
প্রতিক্ষণ/এডি/জেডএমলি