বগুড়ায় চলছে শীতের পিঠা খাওয়ার ধুম
বগুড়া প্রতিনিধি
বগুড়ায় এখন ব্যাস্ত দোকানী, ব্যাস্ত ভোজন রসিক মানুষ। শীতের তীব্রতাকে পিছনে ফেলে ধোয়া ওঠা চিতই ভাপা খেতে, পিঠা ঘড় ও ফুটপাতের সব পিঠার দোকানে সকাল-সন্ধ্যা ভীড় করছে পিঠা প্রেমিরা।
আড্ডা আর রসে ভরা গল্পে জমে তুলছে পিঠার বাজার। আর শীতের পিঠা আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সাথে জড়িয়ে থাকায় সারাদেশেই এর ধুম পরেছে।
এলাকা ঘুরে দেখাগেছে, জেলার বিভিন্ন গ্রাম গঞ্জে প্রায় বাড়ীতেই চলছে পিঠা খাওয়ার ধুম। চলছে মেয়ে-জামাইকে পিঠা খাওয়ানোর আমেজ। তবে বাদ পড়ছেনা ছেলে-মেয়ে সহ দাদা বা নানার বাড়ীতে বেড়াতে আসা নাতী-নাতনীও।
শুধু কি তাই ? জনবহুল স্থান, বাজার ও গ্রামের অলিগলিতে বসেছে পিঠার দোকান। মা, বা দাদী-নানীর হাতের তেল পিঠা, দুধ পিঠা খেয়েও আবার বসছে ফুটপাতের দোকনের ধোয়া ওঠা পিঠাগুলো খেতে। খেজুরের রস আর নতুন পাটালী দিয়ে তৈরী পিঠায় শীতের আমেজ যেন জিহবার অগ্রভাগে।
তাই সন্ধ্যার পর অনেকে বাড়ী ফেরার সময় তার স্নেহের মানুষটির জন্য কিনে নিয়ে যাচ্ছে সুস্বাদু এসব পিঠা। দোকানীরা তাদের কাছে ভাপা, চিতই ও তেলের পিঠা বিক্রি করছে দেদারছে। ৪/৫ রকমের এসব পিঠা দোকানীরা বিক্রি করছে মাত্র ৫ টাকায়।
ফুটপাতের এক পিঠা দোকানী জানান, বছরের প্রায় ৬ মাস তিনি পিঠা বিক্রি করেন। আর এ সময়টাতেই ব্যাবসা ভাল হয়। কারন এখনই পিঠার আসল স্বাদ নেওয়ার সময়।
তিনি বলেন, চেষ্টা করি পিঠার যেমন স্বাদ ঠিক তেমন স্বাদই ধরে রাখতে। তাতে পিঠা যারা পছন্দ করেন তারা আমার এখানে আবার আসবেন।
কুয়াশার চাদর মুরি দেয়া সকাল থেকেই বগুড়ার পথে-ঘাটে শীতের পিঠা বিক্রির ধুম ও নানা মানুষের এসব চিত্র দেখে মনে হয় এ যেন গ্রাম বাংলার চির চেনা ভালবাসার সেতু বন্ধন আর মিলন মেলা।
প্রতিক্ষণ/এডি/জেডএমলি