বগুড়ায় যুবলীগকর্মী খুন
জেলা প্রতিবেদক, প্রতিক্ষণ ডটকম
বগুড়া জেলা শহরের ফুলতলা এলাকায় যুবলীগকর্মী রঞ্জু প্রামানিককে (৩৮) কুপিয়ে ও গুলিকরে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
রোববার বিকেলে সাড়ে ৪টার দিকে ফুলতলা এলাকায় একদল দুর্বৃত্ত তাকে লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি করে। পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ফেলে রেখে যায়।
স্থানীয় লোকজন রঞ্জুকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
যুবলীগকর্মী রঞ্জু প্রামানিক ফুলতলা উত্তরপাড়ার মৃত শুকুর আলীর ছেলে এবং শাজাহানপুর উপজেলা যুবলীগের সদস্য।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিকেলে ফুলতলা এলাকায় একটি ফাঁকা জায়গায় বসে থাকা অবস্থায় একদল দুর্বৃত্ত রঞ্জুকে লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে। এসময় রঞ্জু গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে দুর্বৃত্তরা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ফেলে রেখে যায়।
ঘটনার পর রঞ্জুর সমর্থকরা আব্দুস সাত্তার নামে এক মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। পরে স্থানীয় লোকজন আগুন নিভিয়ে ফেলে।
স্থানীয়রা জানান, রঞ্জুর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। আধিপত্য বিস্তার, ইট-বালুর ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ, জায়গা-জমি কেনা-বেচা ছিল রঞ্জুর নিয়ন্ত্রণে। তিনি এলাকায় ত্রাস হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মান্নান জানান, পুর্ব বিরোধের জের ধরে এবং এলাকার প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে রঞ্জুকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে।
২০১০ সালে যুবলীগ নেতা ও শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহিন হত্যা মামলার আসামি ছিলেন রঞ্জু ও তার বড় ভাই যুবলীগ নেতা মজনু, ভাগিনা শামিম হোসেন বুশ, ভাতিজা নাহিদ। শাহিন হত্যার ছয় মাস পর শামিম হোসেন বুশকে গলাকেটে হত্যা করা হয়। এর এক বছর পর মজনু এবং তার ভাতিজা নাহিদকে একই সঙ্গে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা। এর আগে ১৯৯৯ সালে রঞ্জুর বাবা শুকুর আলীকে দিন দুপুরে বাড়িতে ঢুকে কুপিয়ে হত্যা করেছিল সন্ত্রাসী শাহিন বাহিনীর লোকজন।
প্রতিক্ষণ /এডি/কাকন