বর্জ্য ব্যবস্থাপনা থেকে সিটি কর্পোরেশনের আয়(পর্ব-৪)
নিজস্ব প্রতিবেদক
ময়লা-আবর্জনার গন্ধে দুষিত হচ্ছে পরিবেশ আর সেই দূষিত পরিবেশ থেকে নগরবাসীকে বাঁচাতে সেকেন্ডারী ট্রান্সফার স্টেশনের মাধ্যমে রাজধানীর বর্জ্য ব্যবস্থাপনার পরিকল্পনা করেছে সিটি কর্পোরেশন। আর এই পদ্ধতিকে বড় একটি আয়ের উতসেও পরিণত করতে পারে দুই সিটি কর্পোরেশন।
এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে সড়কগুলোকে আবর্জনামুক্ত রেখে রাজধানীবাসীকে দুর্গন্ধ থেকে রেহাই দেয়া যাবে বলেও মনে করেন তারা।
তবে নগর পরিকল্পনাবিদদের মতে, উৎস থেকে জৈব ও অজৈব বর্জ্যকে পৃথক করা না গেলে সকল প্রকল্পই মুখ থুবড়ে পড়বে।
দিনে দিনে যেন আবর্জনার নগরীতে পরিণত হচ্ছে রাজধানী। দক্ষিণ-উত্তরের সড়কের এই চিত্রই বলে দিচ্ছে কতটা দূর্বিসহ হয়ে ওঠেছে নাগরিক জীবন।
এই পরিবেশ থেকে রাজধানীবাসীকে মুক্তি দিতে সেকেন্ডারী ট্রান্সফার স্টেশন প্রকল্প হাতে নিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন। প্রতিটি ওয়ার্ডে এই স্টেশন স্থাপনের মাধ্যমে সড়কগুলো বর্জ্য মুক্ত রাখা হবে বলে জানানো হয়।
উত্তর সিটি কর্পোরেশন ইতোমধ্যে নিকুঞ্জ, নিকেতনসহ কয়েকটি স্থানে বর্জ্য রাখার স্টেশন তৈরি করেছে। কিন্তু এগুলো খোলামেলা হবার কারনে ছড়িয়ে পড়ছে দুর্গন্ধ। তারপরও এই প্রকল্পের মাধ্যমে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সম্ভব বলে মনে করে উত্তর সিটির কর্পোরেশন।
তবে নগরপরিকল্পনাবিদদের মতে, উৎস থেকে বর্জ্য পৃথক করা না গেলে এই প্রকল্পও সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হবে।
রিসাইক্লিং করে পূণর্ব্যবহারযোগ্য করার মাধ্যমে বর্জ্য সমস্যার সমাধান করা সম্ভব বলে মনে করেন বুয়েটের শিক্ষক।
সুষ্ঠু পরিকল্পনার মাধ্যমে বর্জ্য ব্যবস্থাপনাই সিটি কর্পোরেশনের অন্যতম আয়ের উৎস হতে পারে বলেও মনে করেন নগরিকল্পনাবিদরা।
প্রতিক্ষণ/এডি/এনজে