প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ
সকল কর্মজীবি মানুষেরই ইচ্ছা থাকে বসের প্রিয় কর্মী হওয়ার। এতে কাজেকর্মে যেমন উৎসাহ বাড়ে, তেমনি প্রোমোশন ও বেতনের দিকটাতেই ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। কিন্তু কেবল মাথা গুঁজে কাজ করলেই বসের প্রিয় পাত্র হওয়া সম্ভব নয়। তার জন্য প্রয়োজন কিছু কৌশল অবলম্বন করা। কিছু অভাস আত্নস্থ এবং কিছু অভ্যাস ত্যাগ করা।
আসুন জেনে নেওয়া যাক কী উপায়ে বসের প্রিয় কর্মী হওয়া সম্ভব।
১) বসের পেছনে গসিপ:
এমন কর্মী অফিসে থাকবেই, যারা সামনে যতই ভদ্রতা দেখান না কেন, পিছনে কিন্তু বসের নামে বাজে কথা বলতে ছাড়েন না। তবে বসও তো আর বোকা নন। খবর তাঁর কাছে যাবেই। তাই এই অভ্যাস ছেঁটে ফেলাই ভাল।
২) মোটিভেশনের অভাব:
কাজের থেকে অকাজেই এরা বেশি সময় দিয়ে থাকে। যেমন ধরুন, বার বার বিভিন্ন ছুতোয় ওঠা। কাজ ফেলে রেখে গল্পে মেতে ওঠা। হয়তো তাঁরা বলবেন, যেটুকু করেছি পারফেক্ট কাজ করেছি। কিন্তু বসের চোখে এই ধরনের কর্মী কিন্তু ফাঁকিবাজ।
৩) দায়িত্ব এড়িয়ে চলা:
এমনও কর্মী আছেন। যাঁরা নিজের ভুল স্বীকার করেন না। অথচ অন্যের উপর দোষ চাপান। শুধু বস নয়, সহকর্মীরাও তাঁদের এড়িয়ে চলতেই পছন্দ করেন। তাই চেষ্টা করুন কর্মক্ষেত্রে বেশি করে দায়িত্ব নিতে।
৪) কাজ শিখতে অনীহা
আপনাকে হয়ত কেউ কাজ শেখাতে চাইছে, কিন্তু শেখার ইচ্ছেটাই নেই আপনার! এই কাজ শিখতে না চাওয়াটা কিন্তু নেহাতই ফাঁকিবাজির লক্ষণ। এই স্বভাবটা বদলাতেই হবে আপনাকে।
৫) খারাপ ব্যবহার:
সহকর্মীদের সঙ্গে কমিউনিকেশনের অভাব, আর অল্পেতেই মাথা গরম করে চেঁচামেচি জুড়ে দেওয়া কি আপনার স্বভাব? অহেতুক উত্তেজিত হয়ে যাই করবেন, তাতে আপনার খারাপই হবে। সহকর্মীদের গসিপের বিষয়বস্তু হওয়া ছাড়া আর কোনও উপকারে লাগবে না। তাই বসের মন পেতে অবশ্যই উত্তেজনা সামলে রাখুন।
৬) অতিরিক্ত অভিযোগ করা:
যদি মনে করেন অন্যর ভুল খুঁজে বের করাটাই আপনার কাজ, আর বসের কাছে অন্যের নামে নালিশ করলেই বস খুশি হয়ে যাবে, তা হলে আপনি ভুল করছেন। বস তো খুশি হবেই না। উল্টে অফিসে কেউই আপনার বন্ধু হতে চাইবেন না।
প্রতিক্ষণ/এডি/সাদিয়া