বহু গুণের তেজপাতা

প্রকাশঃ সেপ্টেম্বর ৫, ২০১৫ সময়ঃ ৭:২০ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৯:০৯ পূর্বাহ্ণ

নিজেস্ব প্রতিবেদক

tejpata1শুধু রান্নাতেই ব্যবহার হয় না বরং প্রচুর ঔষধি গুণও রয়েছে এই  তেজপাতাতে। শরীরের নানা রোগ সারিয়ে তুলতে তেজপাতার কোন তুলনা হয় না।

অসাধারণ এই তেজপাতার গুনের কথা অনেকেরই অজানা। রান্নায় সুগন্ধ বাড়ানো ছাড়াও এই খাদ্য উপাদানটিতে আরো অনেক গুণ রয়েছে।

জেনে নেই তেজপাতার গুণাগুণঃ

১. অনেক সময় অনেকের ঘন ঘন পানি পিপাসা লাগে। সেক্ষেত্রে ১ লিটার পানিতে তেজপাতা সেদ্ধ করে ছেঁকে নিয়ে ২-৩ বার খান। দেখবেন বার বার পিপাসা লাগবে না।

২. হালকা গড়নের মানুষের জন্যে তেজপাতা খুব উপকারী। চেহারা ফিরিয়ে আনতে তেজপাতা কুচিয়ে, থেঁতো করে ২কাপ গরম পানিতে ১০-১২ ঘন্টা ভিজিয়ে রেখে এরপর ছেঁকে নিয়ে ২ বার করে ২ সপ্তাহ খেলে শরীরে জোর আসে, লাবণ্য ফিরে আসে।

৩. চর্মরোগ হলে তেজপাতা থেঁতো করে ৪ কাপ পানিতে সেদ্ধ করে সকাল ও বিকেলে খেতে হবে। ৪-৫ সপ্তাহ খেলেই দাদ চুলকানি সেরে যাবে। এছাড়া ওই পানি তুলা ভিজিয়ে দাদের জায়গা মুছে নিলেও কাজ হয়।

৪. অনেক সময় প্রস্রাবের রঙ লালচে হয়। সেক্ষেত্রে তেজপাতা ২-৩ কাপ গরম পানিতে ২ ঘন্টা ভিজিয়ে, এরপর ছেঁকে ২-৩ ঘন্টা অন্তর অন্তর পান করলে প্রস্রাবের রঙ সাদা হয়ে যাবে।

৫. ত্বক পরিষ্কারে তেজপাতা খুব উপকারী। তেজপাতাকে চন্দনের মতো বেটে, গোসলের আগে গায়ে মেখে ঘন্টা খানেক রাখুন। এরপর গোসল করে নিন। দেখবেন ময়লা উঠে গেছে। এছাড়া যাদের গায়ে দুর্গন্ধ থাকে, তাদের সেই সমস্যাও দুর হয়ে যায়।

tejpata৬. পানিতে তেজপাতা দিয়ে সিদ্ধ করে সেই পানি দিয়ে গোসল করলে ত্বকের অ্যালার্জি সমস্যা কমবে।

৭. ফোঁড়া হলে যদি খুব যন্ত্রণা হয়, শক্ত হয়ে যায়, তবে এই অবস্থায় তেজপাতা বেটে ২-৩ বার প্রলেপ দিলে যন্ত্রণা কমে যাবে।

৮. যাঁদের অতিরিক্ত ঘাম হয়, তারা প্রতিদিন ১ বার করে তেজপাতা বাটা মেখে আধ ঘন্টা থাকার পর গোসল করে নিলে বেশি ঘাম হওয়া কমে যাবে। এইভাবে ৭ দিন করতে হবে।

৯. তেজপাতা পানিতে সেদ্ধ করে ওই পানি দিয়ে কুলকুচি করলে মুখের অরুচি কেটে যায়।

১০.সর্দিতে গলা বুজে যায় অনেকেরই। সেই সময় জোরে জোরে কথা বললে বা চিত্‍কার করলে গলা ভেঙে যায়।  এই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে তেজপাতা থেঁতো করে ৩-৪ বার একটু করে খেলেই হবে।

প্রতিক্ষণ/এডি/এফজে

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G