বাংলাদেশী বিজ্ঞানীর উদ্ভাবন: শ্যাওলা থেকে জৈবজ্বালানি

প্রকাশঃ অক্টোবর ২৭, ২০১৬ সময়ঃ ১২:১১ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ১২:১১ অপরাহ্ণ

1477376414_usaসফটওয়্যারের উন্নয়ন ও শ্যাওলা থেকে জৈবজ্বালানিতে রূপান্তরের তাত্ত্বিক বিষয় উদ্ভাবনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের একজন কম্পিউটার বিজ্ঞানী পুরস্কার লাভ করেছেন। পুরস্কারপ্রাপ্ত বিজ্ঞানী ড. মোঃ তামজিদুল হক যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব নিউ অরলেন্স (ইউএনও)-এর কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক।

তিনি সফটওয়্যার টুল্সের উন্নয়ন ও শ্যাওলা থেকে জৈবজ্বালানিতে রূপান্তরের তাত্ত্বিক বিষয় উদ্ভাবনের জন্য ‘লুসিয়ানা বোর্ড অব রিজেন্টস ইন্ডাস্ট্রিয়াল টাইস রিসার্চ সাবপ্রোগ্রাম থেকে পুরস্কার হিসেবে ১ লাখ ৪১ হাজার ৪৫৩ মার্কিন ডলার লাভ করেছেন।

ঢাকায় প্রাপ্ত তথ্যে আরও জানা গেছে, তিনি তিন বছর মেয়াদী প্রাতিষ্ঠানিক মঞ্জুরি হিসেবেও ৩৬ হাজার ৭২০ মার্কিন ডলার পাবেন। খবর বাসস’র।

ড. হক জানান, অন্য যে কোন প্লান্টের তুলনায় জৈবজ্বালানি হিসেবে রূপান্তরে শ্যাওলা বেশি কার্যকর। তিনি জানান, শ্যাওলাকে অতি চমৎকার ব্যাটারির কারখানা হিসেবে উন্নয়ন করা যেতে পারে, যা সৌর শক্তি উৎপাদন ও বায়ু ম-লীয় কার্বন ডাই অক্সাইডে রূপান্তর করা যায়।

ড. হকের এই প্রকল্প ইউএনও, বিএইচও প্রযুক্তি এবং লুসিয়ানা ইমাজির্ং টেকনোলজি সেন্টারের যৌথ উদ্যোগ। তার পরীক্ষাগারে শ্যাওলা থেকে জৈবজ্বালানি উৎপাদনের জন্য জীনের পর্যাবৃত্তি বিশ্লেষণে অগ্রসরমান এ্যালগরিদমের উন্নয়ন করা হবে।

ড. তামাজিদুল হক নাসা মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রে স্বয়ংক্রিয় সরঞ্জাম ও নাসার ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন ও এর বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ বাজারজাতকরণে প্রধান তদন্তকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ৬০ হাজার ৭৩ ডলারের মঞ্জুরিতে এই কার্যক্রম তার সহ-প্রধান হচ্ছেন ইউএনও’র কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক শেনগ্রু তু।

এই মঞ্জুরি ব্যবহার করে ড. হক ও তু নাসার সরঞ্জামাদি ও সহজে আবিষ্কারের জন্য সম্পর্কিত সম্পদ আরও নির্ভুল ও ব্যবহারবান্ধব করে তুলবেন।

ড. তামজিদুল হক মুন্সীগঞ্জ জেলার লৌহজং উপজেলার প্রয়াত ড. (ক্যাপ্টেন) শামছুল হকের পুত্র। তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে ১৯৯৮ সালে কম্পিউটার বিজ্ঞানে স্নাতক ও ২০০২ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন।

ড. হক ২০০৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নের মনাশ ইউনিভার্সিটি থেকে তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রী লাভ করেন। তিনি ২০০৭ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার গ্রিফিথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চ ফেলো ছিলেন। তিনি ২০১১ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানা ইউনিভার্সিটির পোস্ট ডক্টরাল ফেলো ছিলেন।

ইউনিভার্সিাট অব নিউ অরলেনসে যোগদানের পর থেকে এ পর্যন্ত ড. হক গবেষণা মঞ্জুরি হিসেবে প্রায় ৬ লাখ ৭ হাজার ৮৬ মার্কিন ডলার লাভ করেছেন।

প্রতিক্ষণ/এডি/শাআ

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য



আর্কাইভ

December 2025
SSMTWTF
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031 
20G