ফারজানা ওয়াহিদ
মিডিয়া জগত মানেই আলোচনা সমালো্চনার পাহাড়। আর এই মিডিয়াতে কাজ করছেন এমন কিছু তারকারা যারা বর্তমানে অনেক আলোচিত। আজ তেমনই কিছু তারকাদের আপনাদের সামনে আনছি যারা বর্তমানে বাংলাদেশের মিডিয়াতে বেশ আলোচিত-
সানি লিওন
কি অবাক হচ্ছেন! এখানে সানি লিওন কিভাবে? হ্যা, সানি লিওন বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতের কেউ না, তারপরও তিনি আলোচিত। সানি লিওন বাংলাদেশে আসা নিয়ে আলোচনা সমালোচনার যেন শেষ নেই। প্রথমে আলোচিত হয়েছে তার পারফর্মেন্সের টিকিট নিয়ে এবার আলোচিত তার ঢাকায় আসা নিয়ে।
বাংলাদেশে সানি লিওনকে একটা স্টারের মর্যাদা দেয়ার চেষ্টা চলছে। একে নিয়ে পথে ঘাটে আলোচনা হচ্ছে। বলা যায় না হয়তো যে কোন দিন শুনব সানি লিওন বাংলাদেশের কোন একটি ‘এইডস বিরোধী কনসার্টে’ নাচবে! বাংলাদেশে সানি লিওনকে ‘স্বাভাবিক’ বানানো হচ্ছে। শহরের ক্লাস ফাইভের বাচ্চারাও সানি লিওনের নাম জানে। সানি লিওনকে দিয়ে শুরু এর পরে আসবে সানি লিওনের অন্যান্য সহযোগীরা। যেমন এক সময় বাংলাদেশে যখন
সুন্দরী প্রতিযোগীতা শুরু হল তখন হুজুররা, সাধারন মানুষেরা বাঁধা দিয়েছিল কিন্তু এখন সবার ‘চোখ সওয়া’ হয়ে গেছে।
শুক্রবার জুম্মার নামাজের খুতবার বয়ানের আগে তাকে হটানোর ঘোষণা দেন হেফাজতে ইসলাম। তারা বলেন, ‘বাংলার জমিনে কোনো নর্তকীকে বেলেল্লাপনা করতে দেয়া হবে না। ‘তৌহিদী জনতা’কে উপেক্ষা করা হলে প্রয়োজনে, যে বিমানবন্দর দিয়ে সানি লিওনকে আনা হবে সেই বিমান বন্দরেও আক্রমণ করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তারা।
জ্যাকুলিন মিথিলা সম্প্রতি ফেসবুকে কিছু ছবি আপলোড দিয়ে তিনি আলোচিত হন। নিজেকে দর্শকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু করে নিয়েছেন ঐ আপলোড করা ছবি গুলো দিয়ে। নিজেকে সানি লিয়ন দাবি করেন এই মডেল। একের পর এক ফেসবুকে সানি লিওনের মতো করে ছবি আপলোড দিয়ে তিনি এই আলোচনা সৃষ্টি করেন। দিপু খানের ফটোগ্রাফিতে জ্যাকুলিন মিথিলা নতুন করে সানি লিওনি ফটোশুট করলেন। জ্যাকুলিন মিথিলা এই প্রসঙ্গে বলেন, কে কি বলল বা না বলল এই নিয়ে আমার কোন মাথা ব্যাথা নেই। নিন্দুকেরা সব সময় বাজে মন্তব্য করবে এইটাই স্বাভাবিক। তবে আমি মনে করি বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদেরকেও সামনে এগিয়ে যেতে হবে। আজকে যারা আমার ছবির সমালোচনা করছে তারাই আবার ভারতীয় সানি লিওনের সিনেমা দেখে। অথচ আমরা যখন ঐ রকম করে ফটোশুট করি তখন তারা আমাদের সমালোচনা করে। তবে একটা ব্যাপার এখন প্রমানিত যে, আমিই বাংলাদেশের সানি লিওন। বর্তমানে তিনি নায়লা নাইমের থেকেও বিতর্কিত।
নায়লা নাইম বেশ কিছু খোলামেলা পোশাক পড়া ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে ব্যাপক আলোচনায় আসেন এ সময়ের সর্বাধিক আলোচিত মডেল নায়লা নাঈম। সাধারণত যেসব পোশাকে বাংলাদেশের মডেল তারকাদের দেখা যায় না নায়লাকে সে ধরনের পোশাকে বেশিরভাগ সময়ই দেখা গেছে। স্বল্পবসনে ছবি পোস্ট করে কম সমালোচনার মুখোমুখি হননি তিনি। তারপরও এ ধরনের ছবি পোস্ট থেকে তিনি বিড়ত থাকেননি।
তার ভাষ্য অনুযায়ী, ‘আমার কাজগুলো নিয়ে আলোচনা হচ্ছে এবং অনেকে হয়তো ব্যাপারটাকে সহজভাবে নিতে পারেননি, তাই তার সমালোচনা করেছেন। আবার অনেকে কিন্তু এই একই কাজগুলোর অনেক প্রশংসাও করেছেন।’
রমজান মাসের শুরুতে নায়না নাঈম তার ভেরিফাইড পেজে হিজাব পরা একটি ছবি পোস্ট করেন। এ ছবিটি নিয়েও বেশ বিতর্ক তৈরি হয়। একপর্যায়ে এ ছবি নিয়ে সোস্যাল মিডিয়ায় আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় বইতে থাকে। কেননা সারাবছর স্বল্পবসনা হিসেবে পরিচিত এই মডেলের নতুন রূপ সবারই চোখকে ধাঁধিয়ে দিয়েছে।
সম্প্রতি নায়লা নাঈম তার পেজে ‘কাপড় খুললেই নায়লা নাঈম হওয়া যায় না’ বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি আরো লেখেন, ‘যদি কাপড় খুললেই নায়লা নাঈম হওয়া যেতো তাহলে এতদিনে নায়লা নাঈমের সানি লিওন হয়ে যাবার কথা।’ যারা ‘আজেবাজে’ মন্তব্য করেন তাদের উদ্দেশ্যে নায়লা এই কথা বলেন।
হ্যাপি বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ের বেশ আলোচিত ক্রিকেটার রুবেল এবং অভিনেত্রী হ্যাপির বিষয়টি। রুবেলের বিরুদ্ধে হ্যাপির দায়ের করা ধর্ষণ মামলার কারণে তাদের নিয়ে অনেকেরই আগ্রহ রয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার প্রসঙ্গ হ্যাপি-রুবেল।
এবার মিডিয়া এবং এর বাইরে ব্যাপক পরিচিতি পাওয়ার লোভে একের পর এক বিতর্ক ছড়িয়েই যাচ্ছে আলোচিত নাজনিন আক্তার হ্যাপী। তবে এবার সেই হ্যাপী নিজেই স্বীকার করেছেন তার নামটি যে বিতর্কিত!
এদিকে নিজের নাম বিতর্কিত এমন দাবী করে তিনি তার একবছরের কর্মকাণ্ডের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেছেন ফেসবুক স্ট্যাটাসে।
হ্যাপী লিখেছেন-‘আমি জানি “নাজনীন আক্তার হ্যাপী” একটি বিতর্কিত নাম। সোশ্যাল নেটওয়ার্কে আমাকে নিয়ে সবসময় আলোচনা-সমালোচনা চোখে পড়ার মতো। সাধারণ মানুষ থেকে মডেল, ফেসবুক মডেল, অনেক টিভি অভিনেতা-অভিনেত্রী অনেকেই আমাকে নিয়ে অদ্ভুত সব প্রশ্ন তোলেন।
প্রভা
জনপ্রিয় অভিনেত্রী সাদিয়া জাহান প্রভা তখন দেশের শীর্ষ মডেল ও অভিনেত্রী। ঠিক সেই সময়েই তার একটি ভিডিও ফুটেজ বাজারে ছাড়েন তার সেই সময়ের হবু বর রাজীব। মুহুর্তেই তা দেশ বিদেশে ছড়িয়ে পড়ে। রাজীব এবং প্রভার বিয়ে পারিবারিকভাবেই চুড়ান্ত হয়েছিলো। সব ঠিকঠাক এগুচ্ছিলোও। তাই অনেকটা দাম্পত্য জীবনের মতোই ছিলো তাদের সম্পর্ক। কিন্তু এর মাঝে অভিনেতা অপূর্বর সাথে প্রভার মনদেয়া নেয়া হলে প্রভা পালিয়ে অপূর্বকে বিয়ে করে বসেন। এরপরই প্রতিহিংসার বশে রাজীব তার হবু স্ত্রী প্রভার একান্ত সময়ের কিছু ফুটেজ ইন্টারনেটে ছেড়ে দেন। প্রভার পক্ষ থেকে এমনটাই অভিযোগ করা হয়েছিল। এ নিয়ে তুমুল বির্তকে পরেন প্রভা। অপূর্বর সাথেও সংসার ভেঙ্গে যায়। ক্যারিয়ারে ধস নামে।
অভিনেতা অপূর্বর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর ২০১২ সালের ১২ জুলাই মাহমুদ শান্তকে বিয়ে করেন প্রভা। পারিবারিক সম্মতিতে তাঁদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। মাহমুদ শান্ত একটি বেসরকারি চাকরির পাশাপাশি সংগীতচর্চা করেন। সম্প্রতি প্রভা-শান্তর সঙ্গে গড়ে তোলা দ্বিতীয় সংসার ভাঙার খবর কিছু পত্রিকায় প্রকাশ হয়। এ বিষয়ে মুঠো ফোনে প্রভার কাছে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেন এবং সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘সংসার ভাঙার খবরটি ভুয়া।’ তবে এ ব্যাপারে প্রভা বিস্তারিত কিছু বলেননি তিনি অনলাইন সংবাদ মাধ্যমগুলোকে সঠিক খবর প্রচার করার জন্য অনুরোধ জানান !
প্রতিক্ষন/এডমি/এফজে