বাগেরহাটে মুগডাল চাষে আগ্রহ বাড়ছে চাষিদের
শামীম আহসান মল্লিক, বাগেরহাট প্রতিনিধি:
কম পরিশ্রমে ফলন বেশি হওয়ার বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে মুগডাল চাষে কৃষকদের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে। পারিবারিক চাহিদা পূরণের পাশাপাশি এতে অল্প খরচে বেশি লাভবান হচ্ছে কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরে মোরেলগঞ্জ উপজেলার ১৬ ইউনিয়নে ৪৯৪ একর জমিতে বারি মুগ-৬ জাতের চাষ হয়েছে। বছরের জানুয়ারী-ফেব্রুয়ারী মাসের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে এ ডালের চাষাবাদ করা হয়। এতে হেক্টর প্রতি ১২০০-১৩০০ কেজি ডাল পাওয়া সম্ভব।
মুগডালে রোগ বালাই কম। সার ও সেচ তেমন প্রয়োজন হয়না। ধান চাষে যেখানে ২৫ থেকে ৩০ বার সেচ ও সার দিতে হয় সেখানে মুগডালে সেচ ও সারের পরিমাণ অতি সামান্য। জমিতে সামান্য লাঙ্গল দিয়ে বীজ ফেললেই হয়।
উপজেলা উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার মেজবাহ আহমেদ জানায়, বিঘা প্রতি মুগডাল ১৫০-২০০ কেজি ফলন হয়। বাজার দর প্রতি কেজি ১০০-১১০ টাকা। এতে বিঘা প্রতি সর্বোচ্চ খরচ হয় ২০০০ -২৫০০ টাকা ।
রামচন্দ্রপুর ব্লকের কচুবুনিয়া গ্রামের মুগডাল চাষী দুলাল কৃষ্ণ সাহা বলেন, চলতি বছরে এ ডালের বাম্পার ফলন হবার সম্ভাবনা রয়েছে। বারি মুগডাল-৬ চাষে বিগত বছরে বেশ লাভবান হয়েছি। যার কারণে এ বছরও চাষ করেছি।
উপজেলা সহকারি কৃষি অফিসার জাকির হোসেন বলেন, উপজেলা সব ইউনিয়নেই এ ডালের চাষ হয়েছে। তবে উপজেলার বলইবুনিয়া, হোগলাবুনিয়া, রামচন্দ্রপুর, চিংড়াখালী, হোগলাপাশা ও বনগ্রাম ব্লকে বেশি চাষ হয়েছে এ ডালের।
উপজেলা কৃষি অফিসার অনুপম রায় জানান, উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে রাজস্ব বাজেটের আওতায় ২০টি মুগডালের প্রদর্শনী করা হয়েছে। মুগডাল চাষে চাষিদের আগ্রহ সৃষ্টির লক্ষ্যে মুগডালের এ প্রদর্শনী করা হয়।
প্রতিক্ষণ/এডি/সাই