বাধা দেয়াতেই এতো মানুষের ঢল, রান্না-বান্নাও হয়েছে সমাবেশস্থলে!

প্রকাশঃ নভেম্বর ৫, ২০২২ সময়ঃ ৭:৩৭ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৭:৩৭ অপরাহ্ণ

বরিশাল প্রতিনিধি

শনিবার বিকাল ৩টার পর বরিশালের বঙ্গবন্ধু উদ্যানে অনুষ্ঠিত হলো বরিশাল বিভাগীয় সমাবেশ। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, নেতাকর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদ ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিভাগীয় শহরগুলোতে গণসমাবেশ করছে বিএনপি।

পরিবহন ধর্মঘট উপেক্ষ করে বরিশাল নগরীতে বিএনপি নেতাকর্মীদের ঢল নেমেছে আগের দিন থেকেই। সমাবেশের আগেই সমাবেশস্থলে জমায়েত হওয়ার ঘটনাও এই প্রথম। জনসমাগমে বাধা দেয়ায় বাধ ভেঙেছে এমন মন্তব্য সাধারণ মানুষের। সরকারী ভাবে যদি বাধা দেয়া না হতো তাহলে হয়তো মানুষের ঢল হতো না।

এর আগে চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, খুলনা ও রংপুরে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশের কর্মসূচি পালিত হয়। এ চার স্থানেই বাধা দেওয়ার ঘটনা ঘটে। খুলনা ও রংপুরে ডাকা হয় পরিবহণ ধর্মঘট। বরিশালে আরও বড় বাধা দেওয়া হতে পারে এমনটা মাথায় রেখেই প্রস্তুতি নেয় বিএনপি।

বিএনপির সমাবেশে যেন লোক কম হয় তা দেখাতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ সমর্থিত পরিবহন শ্রমিক নেতারা ৪ ও ৫ নভেম্বর সকল ধরনের বাস, লঞ্চ এবং থ্রিহুইলার চলাচলে ধর্মঘট ডাকে। ফলে স্বাভাবিক যাতায়াত মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হয়। সাধারণ মানুষ পরে বিড়ম্বনায়।

অথচ যাদের জন্য এই ধর্মঘট, সেই বিএনপি নেতাকর্মীরা চ্যালেঞ্জ গ্রহন করে বিকল্প পথে সমাবেশের আগেই দখল করেছেন মাঠ। সমাবেশস্থল বঙ্গবন্ধু উদ্যানে রান্নাবান্না, খাওয়া-দাওয়া, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, নামাজ, ঘুম সবই করছেন তারা।

তারা বলেন, সমাবেশে আসতে না পারার আশংকা আছে ভেবেই তারা আগেভাগে নৌকা, ট্রলার, মোটর সাইকেল, নানান পরিবহন পাল্টে পাল্টে বরিশাল এসে পৌঁছান। সাথে দুই তিনদিনের খাবারও এনেছেন তারা। বাবুর্চিও এনেছেন সাথে।

তুণমূল নেতাকর্মীদের এই অবস্থানগ্রহনে জাতীয় নেতারাও উজ্জবিত হচ্ছেন। বরিশাল নগরবাসী রাজনীতি দিয়ে রাজনীতি মোকাবিলার তাদের এই কৌশলকে বাহবা দিচ্ছেন।

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G