বারবার অভিযানের পরও রাসায়নিকের গুদাম রয়েছে, যা দুঃখজনক
পুরান ঢাকা থেকে রাসায়নিকের গুদাম সরানোর জন্য সংশ্লিষ্ট সবার সম্পূর্ণ সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘বারবার অভিযান পরিচালনা করার পরও এখনো সেখানে রাসায়নিকের গুদাম রয়েছে, যা দুঃখজনক।’
প্রধানমন্ত্রী সকাল সোয়া ১০টার দিকে ঢামেক হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে পৌঁছে অগ্নিকাণ্ডে আহত রোগীদের খোঁজ-খবর নেন। এ সময় হাসপাতালের কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।
প্রধানমন্ত্রী সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন, ‘পুরানা ঢাকায় যত কেমিক্যাল গুদাম আছে, এমনকি মোবাইল কোর্ট করেও চেষ্টা করেছিলাম এদের সরাতে। অত্যন্ত দুঃখজনক সাময়িকভাবে কাজ হয়, কিন্তু আবার সবাই যার যার মতো কেমিক্যাল ব্যবহার শুরু করে। এটা ভবিষ্যতে যেন তারা না করেন।’
পুরান ঢাকার রাস্তার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এগুলো আমাদের নতুনভাবে গড়ে তুলতে হবে। যাতে করে ফায়ার সার্ভিসের লোক প্রবেশ করতে পারে। এখন থেকে যত বিল্ডিং তৈরি করা হবে, রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে, যারা বিল্ডিংয়ের ডিজাইন করেন তাদেরও অনুরোধ করব, প্রত্যেকটা জায়গায় যেন অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা থাকে সেদিকে লক্ষ্য রেখেই যেন সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়।’
আজ শনিবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে চিকিৎসাধীন পুরান ঢাকার চকবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধদের দেখতে যান প্রধানমন্ত্রী। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
গত বুধবার রাতে চকবাজারের চুড়িহাট্টায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৬৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃতদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ১৯টি মরদেহ শনাক্তের জন্য ৩১ স্বজনের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী ঘটনার প্রতি মুহূর্তের খোঁজ-খবর নেন; পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশও দেন। এ ছাড়া পরবর্তী সময়ে নিহতদের পরিবারকে সহায়তা এবং আহতদের যথাযথ চিকিৎসা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন তিনি।
এর আগে ২০১০ সালে নিমতলীতে অগ্নিকাণ্ডে ১২৪ জনের মৃত্যু হয়।
প্রতিক্ষণ/এডি/শাআ