ডেস্ক রিপোর্ট, প্রতিক্ষণ ডটকম:
জাভির বিদায়ি ম্যাচে ২৩ তম লা লিগা শিরোপা জয়ের আনন্দে মেতেছে স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সেলোনা। এ ম্যাচে ড্র করলেও ৩৮ ম্যাচে ৯৪ পয়েন্ট নিয়ে শিরোপা ঘরে তুলেছে কাতালানরা। বার্সেলোনার পক্ষে গোল দুটি করেছেন লিওনেল মেসি।
রিয়াল মাদ্রিদের ব্যর্থতার সুযোগ এক ম্যাচ হাতে রেখেই ২৩তম লা লিগা শিরোপা নিশ্চিত করেছিল স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সেলোনা।
দেপার্তিভো লা করুণার বিপক্ষে ন্যু ক্যাম্পের ম্যাচটি ছিলো শুধুই আনুষ্ঠানিকতার। তবে, সবকিছু ছাপিয়ে ছিলো কাতালানদের পুরনো সেনানি জাভির বিদায়ী কান্না। তবে প্রিয় সতীর্থকে বিদায় বেলা লা লিগা শিরোপা উপহার দিলো মেসি -নেইমাররা। যদিও, পয়েন্ট টেবিলের ১৬তম স্থানে থাকা দোপার্তিভোর সাথে পয়েন্ট হারিয়ে কিছুটা আক্ষেপ থাকলেও থাকতে পারে এনরিকের শীষ্যদের।
ম্যাচের ৫ মিনিটেই মেসির হেড গোলে প্রথম লিড পায় কাতালানরা। আর প্রিয় সতীর্থ জাভির বিদায় বেলাকে রঙ্গিন করতে মরিয়া মেসি আবারও আঘাত হানে সফরকারীদের রক্ষণ দুর্গে। তবে, ১৩ মিনিটে মেসির গোলটি কাটা পড়ে অফসাইডে।
১-০ গোলে এগিয়ে থেকেই প্রথমার্ধ শেষ করে এনরিকের শীষ্যরা। দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের ৫৯ মিনিটে নেইমারের পাস থেকে গোল করে লিডটা দ্বিগুণ করে বার্সার প্রাণ ভ্রমরা মেসি।
এরপর ম্যাচে শেষ হওয়ার চার মিনিট আগে ন্যু ক্যাম্পের ৮৯ হাজার দর্শক, সতীর্থ, ক্লাব কর্মকর্তা ও প্রতিপক্ষের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে বার্সেলোনার সাথে ১৭ বছরের সম্পর্কের ইতি টানেন জাভি। বাকি সময়টুকু কোন গোল না হলে লা লিগার শেষ ম্যাচে ড্র নিয়ে শিরোপা জয়ের আনন্দে মাতে বার্সেলোনা।
এ ম্যচ ছিল মিডফিল্ডার জাভি হার্নান্দেজের বার্সেলোনা থেকে বিদায়ী ম্যচ।
উল্লেখ্য ১৯৯১ সালে মাত্র ১১ বছর বয়সে বার্সেলোনায় পা রাখা জাভি বেড়ে ওঠেন বার্সেলোনার ‘লা মেসিয়া’য়। ১৯৯৭ সালে জায়গা পান বার্সেলোনার ‘বি’ দলে। কাতালানদের মূল দলে সুযোগ পেতেও বেশিদিন অপেক্ষা করতে হয়নি। পরের বছরই মূল দলে অভিষেক হয় জাভির। তার পর থেকে ধীরে ধীরে নিজেকে পরিণত করে আজ তিনি বার্সার মাঝমাঠের মধ্যমণি।
তবে, জাভির বিদায়ী বেলাকে স্মরণীয় করতে ম্যাচের শুরু থেকেই আগ্রাসী ছিল কাতালানরা।