বিজু বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতার ভিড়

প্রকাশঃ এপ্রিল ১১, ২০১৭ সময়ঃ ৩:১৭ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৩:১৭ অপরাহ্ণ

মো: সাইফুল উদ্দীন, রাঙামাটি প্রতিনিধি:

আসন্ন চৈত্র সংক্রান্তি বিজু উদযাপনের জন্য রাঙামাটি বনরূপা ত্রিদিব নগর বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতাসহ বিভিন্ন শ্রেণির লোকের ভিড় জমেছে। রাঙামাটি পার্বত্য জেলার দূর-দুরান্ত থেকে বিজু বাজারে আসছে হাজার হাজার মানুষ। কেউ আসছে বিজু বাজারের চিত্র দেখতে। কেউ আসছে বিজু দিনে অতিথিদের আপ্যায়নের জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে।

এসময়ে বিজু বাজারে কলা, বেগুন, করলা, কাঁঠাল, পেঁপেসহ শত শত পাহাড়ি কাচাঁমাল পাওয়া যায়। শুধু বনরূপা ত্রিদিব নগর বাজারে নয়, রাঙামাটির অন্যতম ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বনরূপা তৈয়বিয়া ও বিএম শপিং কমপ্লেক্সেও শত শত ক্রেতাদের লক্ষ্য করা যায়।

ত্রিদিব নগর বাজার ব্যবসায়ী বহুমূখী সমবায় সমিতির সভাপতি স্নেহাশীষ চাকমা (আশীষ)জানান,বিজু হচ্ছে চাকমাদের অন্যতম প্রধান সামাজিক উৎসব। এই দিনে ধনী-গরীব ভেদাভেদ ভুলে এক হয় চাকমারা। বিজু বাজারে হাজার হাজার ক্রেতা-বিক্রেতা আসছে। আমি বাজার সমিতির পক্ষ থেকে সবার আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছি। ত্রিদিব নগর সমাজ কল্যাণ সমিতি, ছদক ক্লাব এর সহযোগিতায় ও ত্রিদিব নগর বাজার ব্যবসায়ী বহুমূখী সমবায় সমিতির উদ্যোগে ৮ এপ্রিল থেকে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত মোট ৫ দিন বিজু বাজারে আমেজ বিরাজ করে। এসময়ে বাজারে বিশৃঙ্খলা রক্ষায় নিরাপত্তা কর্মী ও নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণ কমিটি গঠন করা হয়েছে। ১১ ও ১২ এপ্রিল হবে ত্রিদিব নগর বাজারে মূল বিজু বাজার।

উল্লেখ্য যে, পার্বত্য চট্টগ্রামে ১১টি জাতিসত্তার নিজস্ব সামাজিক উৎসবের মধ্যে চাকমাদের বিজু হল অন্যতম ঐতিহ্যবাহী দিন। মোট ৩ দিন বিজু উৎসবে মেতে উঠে চাকমারা। প্রথম দিন ফুল বিজু। এদিনে পানিতে ফুল ভাসিয়ে অতীতের সব দুঃখকে বিদায়ের মাধ্যমে নতুন দিনকে আগমন বার্তা জানানো হয়। ফুল বিজু দিনের পর মূল বিজু। মূল বিজু দিনে বিভিন্ন জায়গায় ও প্রতিবেশীর বাড়িতে গিয়ে আনন্দ উল্লাসের মধ্য দিয়ে কিশোর-কিশোরীর ঘোরা-ফেরা করে। বিজু দিনে চাকমাদের অন্যতম জনপ্রিয় খাবার পাঁজন পরিবেশন করা হয়। মূল বিজুর পরে গোজ্জে-পোজ্জে দিন। যার বাংলা অর্থ ঘোরাঘুরির দিন। এদিন ছেলে-মেয়েরা পরিচ্ছন্ন কাপড় পরে দলবেঁধে বাড়ি বাড়ি বেড়াতে যায়।

প্রতিক্ষণ/এডি/সাই

 

 

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G