বিল গেটস ও মাইক্রোসফট সম্পর্কে বিস্ময়কর ১৭টি তথ্য

প্রকাশঃ ফেব্রুয়ারি ৯, ২০১৭ সময়ঃ ১২:১৫ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ১২:১৯ অপরাহ্ণ

বিল গেটস- বিশ্বের সবচেয়ে খ্যাতিমান ব্যক্তিদের একজন। আর তাঁর প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফটের অপারেটিং সিস্টেম ‘উইন্ডোজ’-এ চলে বিশ্বের অধিকাংশ কম্পিউটার। আসুন জেনে নেয়া যাক বিল গেটস ও তাঁর প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে কিছু তথ্য-

bill gates

 

১। প্রথম দিকে মাইক্রোসফটের নাম ছিল ‘মাইক্রো-সফট’। মাইক্রোকম্পিউটার ও সফটওয়্যারের সমন্নয়ে এই নামটি রাখা হয়েছিল।

২। ১৯৭৬ সালে ‘মাইক্রো-সফট’ দাপ্তরিক কার্যক্রম শুরু করে। ১৯৭৯ সালে নাম বদলে ‘মাইক্রোসফট’ রাখা হয়।

৩। বিল গেটসের স্কুল জীবনের বন্ধু পল অ্যালান ছিলেন মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা।

৪। এটিই বিল ও পলের প্রথম উদ্যোগ ছিল না। এর আগে তাঁরা ট্রাফিক কাউন্টারের জন্য ‘ট্রাফ-ও-ডাটা’ নামে একটি কম্পিউটারচালিত মেশিন তৈরি করেছিল।

৫। মজার ব্যাপার হল, সেই বিল গেটসকেই ট্রাফিক আইন অমান্য করার কারনে ১৯৭৫ এবং ১৯৭৭ সালে দুইবার গ্রেফতার করা হয়।

৬। মাইক্রোসফট শুরুর দিকে অপারেটিং সিস্টেম তৈরি করত না। তাদের প্রথম পণ্য ছিল ‘মাইক্রোসফট বেসিক’ নামক প্রোগ্রামিং ভাষা।

৭। অ্যাপেল ২ এবং কমোডোর ৬৪- ইত্যাদি জনপ্রিয় কম্পিউটারে এই প্রোগ্রামিং ভাষাটি ব্যবহৃত হয়।

৮। মাইক্রোসফট কর্তৃক প্রকাশিত প্রথম অপারেটিং সিস্টেমটির নাম ছিল ‘জেনিক্স’। এটি ১৯৮০ সালে বাজারে আসে এবং এটি ছিল মুক্ত অপারেটিং সিস্টেম ‘ইউনিক্স’-এর  একটি ভার্সন।

৯। মাইক্রোসফট ১৯৮৩ সালে উইন্ডোজ ১.০ এর কাজ শুরু করে এবং বাজারে ছাড়ে ১৯৮৫ সালে। তবে এটা সত্যিকারের কোন অপারেটিং সিস্টেম ছিল না, কেবলমাত্র ‘এমএস-ডস’- এর অনুষঙ্গ হিসেবে কাজ করতো।

১০। বিল গেটস ১৯৯৪ সালে লিওনার্দো দা ভিঞ্চির লেখার সংকলন ‘লেইচেস্টার কোডেক্স’ কিনেন এবং সেটা থেকে কিছু লেখা স্ক্যান করে ‘উইন্ডোজ ৯৫’ এর স্ক্রিনসেভার হিসেবে সংযোজন করেন।

১১। ১৯৮৫ সালে ‘গুড হাউজকিপিং’ ম্যাগাজিনের তাদের একটি সংখ্যায় ‘দেশসেরা বিবাহযোগ্য ৫০ জন পাত্র’-এর তালিকায় বিল গেটসের নাম অন্তর্ভুক্ত করে। তখন তাঁর বয়স ছিল ২৮ বছর।

১২। ১৯৯৩ সালের পর থেকেই বিল গেটস বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের একজন। ১৯৯৯ সালে তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল রেকর্ড পরিমাণ ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। কারো একার পক্ষে যা এখন পর্যন্ত ভাঙ্গা সম্ভব হয়নি।

১৩। বিল ও তাঁর স্ত্রী মেলিন্ডা গেটসের দাতব্য সংস্থা ‘বিল এন্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন’ বিশ্বের সবচেয়ে বড় দাতব্য সংস্থাগুলোর একটি। অর্জিত সম্পদের ৯৫ ভাগই দান করে দেয়ার পরিকল্পনা আছে তাঁদের।

১৪। ব্রিটেনের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ বিল গেটসকে সম্মানসূচক নাইট উপাধি প্রদান করেন। তবে সারা বিশ্বের তথ্য-প্রযুক্তি সংশ্লিষ্টদের হৃদয়ে তিনি আছেন খোদ রাজার আসনে।

১৫। কোস্টারিকার গহীন অরণ্যে প্রাপ্ত বিরল প্রজাতির মাছি ‘এরিস্টালিস গেটাসি’-এর নামকরন বিল গেটসের নামানুসারে করা হয়েছে।

১৬। সত্তরের দশকে বিল গেটস হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ড্রপ আউট হবার আগে তিন বছর সেখানে পড়েছিলেন। ২০০৭ সালে হাভার্ড কর্তৃপক্ষ তাঁকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করে।

১৭। ২০০৯ সালে উইন্ডোজ সেভেন, তারপর উইন্ডোজ এইট এবং সর্বশেষ উইন্ডোজ ১০ বাজারে আসলেও মাইক্রোসফট কোনদিনই উইন্ডোজ নাইন বাজারে ছাড়ে নি।  আশ্চর্যজনকই বটে।

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G