বিশ্বের জনপ্রিয় সাতটি বাহন
প্রতিক্ষণ ডেস্ক
যাতায়াতের সুবিধের জন্য মানুষ বহু যানবাহনের আবিষ্কার করেছে। যাদের মধ্যে কোনওটি পেট্রল-ডিজেলে চলে, কোনওটি আবার নেহাৎ মনুষ্যচালিত শক্তিতেই চলে। এই প্রতিবেদনে রইল তেমনই কিছু মনুষ্যচালিত যানবাহনের কথা-
১. সুকুদু:
দু’টি ছোট ছোট চাকা, একটি হাতল, মালপত্র রাখার অনেকটা জায়গা – সব কিছুই কাঠের৷ এই হল সুকুদু৷ এই অসাধারণ যানটি বিশেষ করে পূর্ব কঙ্গোয় বানানো এবং ব্যবহার করা হয়৷ সুকুদু স্রেফ ঠেলে চালানো হয়, তার ইঞ্জিনের দরকার পড়ে না!
২. জিপনি:
ফিলিপিনের জিপনি ঠিক জিপ নয়, জিপ গোত্রীয় গাড়ি৷ ভস ভস করে ধোঁয়া বেরোয়, কেননা গাড়িগুলো খুবই পুরনো৷ গোড়াতে এই জিপনিগুলি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর মার্কিন সৈন্যদের ফেলে রেখে যাওয়া জিপ থেকে তৈরি হতো৷ রংচংয়ে করা হত ফিলিপিনি ঢঙে৷ আজ অবশ্য নতুন মডেল কিনতে পাওয়া যায়৷
৩. মোপেড:
ভিয়েতনামের হালকা অটোসাইকেল বা মোটরবাইকগুলি বিশেষভাবে জনপ্রিয় ৷ রাজধানী হ্যানয়-এর বাসিন্দা ৬৫ লাখ, কিন্তু মোপেড চলে ৪০ লাখ৷ টুরিস্টরাও মোপেডে চড়ে শহর দেখতে ভারী পছন্দ করেন৷
৪. বাঁশের ট্রেন:
আসল নাম হল নরি৷ ‘নরি’-তে আজ আর বিশেষ যাত্রী ওঠেন না৷ কিন্তু বাঁশের ট্রেন ব্যাকপ্যাক টুরিস্টদের কাছে খুবই প্রিয়৷ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার গতিতে ধানক্ষেতের মধ্যে দিয়ে, ছোটখাটো গাঁ পেরিয়ে যেতে ভালো লাগে বৈকি৷দেখা মিলবে কম্বোডিয়ায়।
৫.টুক টুক:
টুক টুক শুধু থাইল্যান্ডেই নয়, বিশ্বের বহু দেশে চলে৷ পর্যটকদের বিশেষ প্রিয়, কেননা টুক টুক ট্যাক্সির চেয়ে সস্তা৷ টুক টুক-এর আরেক নাম হল অটো রিকশা৷
৬. সাইকেল রিকশা:
ভারতেও অন্তত মফস্বলে – সাইকেল রিকশা ছাড়া জীবন কল্পনাই করা যায় না৷ আধুনা সাইকেল রিকশার মডেলেও ঘটেছে হাজারো রকমফের।
৭.মালবাহী বাইসাইকেল:
ইউরোপে এখন সাইকেল থেকে রিকশা, অশ্বশক্তির বদলে পেশিশক্তিতে চলে, এমন সব ধরনের যানের চল৷ কাজেই জার্মানিতে এই ধরনের ‘লাস্টেনরাড’ বা মালবাহী সাইকেল মালপত্র বওয়া থেকে শুরু করে কচিকাঁচাকে কিন্ডারগার্টেনে পৌঁছে দেওয়া, সব কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে৷
সবাই যা পড়েছে
যে ৫টি দেশে কখনও সূর্য অস্ত যায় না!
প্রতিক্ষণ/এডি/ডিএইচ