বিশ্বের ‘পবিত্র’ যত গাছপালা ও প্রাণী
ডেস্ক রিপোর্ট, প্রতিক্ষণ ডটকম:
বিশ্বের একেক স্থানে, একেক ধর্মে একেকটা প্রাণী বা গাছপালা পবিত্র। মানুষ সেভাবেই খুব মর্যাদার আসনে রাখে সেই গাছপালা ও প্রাণীগুলোকে। চলু্ন জেনে নিই সেরকম কিছু প্রাণী ও গাছপালার কথা।
বেবুন
ভয়ংকর আক্রমণাত্মক মেজাজের এই বেবুনটা দেখলে কারো পক্ষে বিশ্বাস করা কঠিন যে এমন একটা প্রাণীকেই একসময় মিশরের মানুষ ‘স্বর্গীয়’ মনে করতো। প্রাচীন মিশরে বেবুনকে বিজ্ঞান এবং চাঁদের অবতার মানা হতো।
খেজুর
খেজুরেরও একসময় ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় কদর ছিল। খ্রিস্টান এবং ইহুদিরা দীর্ঘকাল এই খেজুর গাছকে পুনরুত্থানের প্রতীক হিসেবে ভক্তিভরে শ্রদ্ধা করেছে।
গুবরে পোকা
মিশরে আবার পুনরুত্থানের প্রতীক ভাবা হতো গুবরে পোকাকে। গুবরে পোকাকে পুনরুত্থানের প্রতীক ভেবে একরকম পূজাই করত প্রাচীন মিশরের মানুষ।
‘বানরের রুটির গাছ’
আফ্রিকার মানুষ অতিকায় একটি গাছকে চেনে বাওবাব গাছ নামে। , গাছগুলোর ওপর থেকে নীচ পর্যন্তই যেন শেকড়। আফ্রিকায় এই বাওবাব গাছের আদুরে নামও অনেক। কেউ বলে ‘জীবনের গাছ’, কেউবা ডাকে ‘বানরের রুটির গাছ’ নামে। অনেক রোগের চিকিৎসার কাজেও ব্যবহার করা হয় বাওবাব গাছের পাতা।
‘ঈশ্বরের সেক্রেটারি’!
বেবুনের মতো এই সারস পাখিকেও খুব ভক্তি করতো প্রাচীন মিশরের মানুষ। এর সঙ্গেও ঈশ্বরের একটা যোগসূত্র খোঁজা হতো৷ কেউ কেউ তো সারসকে ‘ঈশ্বরের সেক্রেটারি’ ধরে নিয়ে তার মন জয় করারও চেষ্টা করতো!
দেবী আফ্রোদিতির প্রিয়…
ডালিমের বিশেষ কদর অনেক ধর্মেই ছিল। উর্বরতা, ভালোবাসা এবং জীবনের প্রতীকও ভাবা হতো লাল টুকটুকে এই ফলকে৷ গ্রিসের মানুষ একসময় মনে করতো, দেবী আফ্রোদিতির খুব পছন্দের ফল ডালিম৷ তাই প্রতিটি বাড়ির সামনে লাগানো হতো একটা করে ডালিম গাছ।
গরু শুধু গরু নয়…
গরু নিছক একটা প্রাণী নয়৷ এর চামড়া, মাংস এবং দুধের কদর তো সারা বিশ্বে। ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকেও অন্যরকম গুরুত্ব দেয়া হয় গরুকে। অনেক ধর্মপ্রাণ হিন্দু গরুকে তুলনা করেন মায়ের সঙ্গে, গরু পায় ‘গো-মাতা’-র মর্যাদা৷ অন্যদিকে বিশ্বের অনেক দেশে মুসলমানরা তাঁদের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসবে গরু কোরবানি দেন।
পদ্মফুল
পদ্মফুলও হিন্দুদের কাছে খুব পবিত্র৷ বিষ্ণু দেব এবং দেবী লক্ষ্মীর পূজা পদ্ম ফুল ছাড়া ভাবাই যায়না।
ইঁদুর
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে ইঁদুরেরও খুব কদর৷ গণেশের বাহন হিসেবে অনেক পূজামণ্ডপেও দেখা যায় ইঁদুরের প্রতিমূর্তি।
প্রতিক্ষণ/এডি/পাভেল