বিশ্বের সেরা সুন্দর দশ মসজিদ (পর্ব-০২)
৬. জহির মসজিদ – কেদাহ,মালয়েশিয়াঃ
জহির মসজিদটি কেদাহ রাজ্যে অবস্থিত। কেদার রাজধানী আলোর স্টারের প্রাণকেন্দ্রে মসজিদটির অবস্থান। এটি মালয়েশিয়ার সবচেয়ে প্রাচীন মসজিদ। সুলতান তাজ উদ্দীন মুকারাম শাহের ছেলে টুংকু মাহমুদের অর্থায়নে ১৯১২ সালে মসজিদটি নির্মাণ করা হয়। ইন্দোনেশিয়ার উত্তর সুমাত্রার আজিজি মসজিদের আদলে এর স্থাপত্যশৈলী নির্মাণ করা হয়।ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের কথা মাথায় রেখেই মসজিদটিতে পাঁচটি গম্ভুজ নির্মাণ করা হয়েছে। এই মসজিদের প্রাঙ্গণে বার্ষিক কোরআন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।মসজিদটি বিশ্বের সেরা দশ মসজিদের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে।
৭.ফয়সাল মসজিদ-ইসলামাবাদ,পাকিস্তানঃ
দক্ষিণ পূর্ব ও দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ফয়সাল মসজিদটি সবচেয়ে বড় মসজিদ হিসেবে পরিচিত। এটি বিশ্বের চতুর্থ বৃহৎ মসজিদ। ১৯৮৬-১৯৯৩ সালে এটি ছিল বিশ্বের বড় মসজিদ। হাসান দ্বিতীয় মসজিদ, মসজিদ আল হারাম, মসজিদে নববীর কাছে প্রতিযোগিতায় হেরে যাওয়ার আগে এটিই ছিল সবচেয়ে বড় মসজিদ।
৮.তাজ উল মসজিদ-বোপাল,ভারতঃ
ভারতের বোপালে অবস্থিত তাজ উল মসজিদটি মসজিদের মুকুট নামে পরিচিত। দিনের বেলায় মসজিদটি ইসলামি স্কুল হিসেবে ব্যবহার হয়।এটি এশিয়ার সবচেয়ে বড় মসজিদ। মসজিদটি দেখতে দিল্লীর জামে মসজিদ এবং লাহোরের বাদশাহী মসজিদের মতো। মসজিদটির দুটি আঠারো তলা উঁচু অষ্টভুজ মিনারের শীর্ষে গোলাপী ছদ্মরূপ মার্বেল আছে। মসজিদে তিনটি বিশাল কন্দজ গম্ভুজ আছে। আকর্ষণীয় স্তম্ভ এবং মেঝেতে মার্বেল খচিত। মসজিদের কেন্দ্রে একটি চত্বর অছে যেখানে বড় জলাধার রয়েছে। এর প্রধান প্রার্থনা কক্ষে চারটি খুপরিকাটা খিলানপথ আছে এবং বের হওয়ার জন্য নয় খাজবিশিষ্ট দ্বিতল গেটওয়ে আছে।
৯.বাদশাহী মসজিদ-লাহোর,পাকিস্তানঃ
লাহোরের বাদশাহী মসজিদটি একটি রাজকীয় মসজিদ হিসেবে পরিচিত। ১৬৭১ সালে এই মসজিদটি মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের অনুমোদনে নির্মাণ শুরু হয় এবং শেষ হয় ১৬৭৩ সালে। এটি পাকিস্তান ও দক্ষিণ এশিয়ায় দ্বিতীয় এবং বিশ্বের মধ্যে পঞ্চম মসজিদ। সৌন্দর্য এবং জাঁকজমকের দিক থেকে এটি লাহোরের বিখ্যাত এবং প্রধান পর্যটন আকর্ষণকারী মসজিদ। মূল প্রার্থনা কক্ষে পঞ্চান্ন হাজার মানুষ সালাত আদায় করতে পারে এবং পঁচানব্বই হাজার মুসলিম মসজিদটির আঙ্গিনায় নামাজ পড়তে পারেন।এটি ১৬৭৩ থেকে ১৯৮৬ অর্থাৎ ৩১৩ বছর বিশ্বের সর্ববৃহৎ মসজিদ হিসেবে পরিচিত ছিল।
১০.সুলতান মসজিদ-সিঙ্গাপুরঃ
মাস্কট রোডে অবস্থিত সুলতান মসজিদকে সিঙ্গাপুরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মসজিদ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। নির্মাণের পরে ১৯৬০ ও ১৯৯৩ সালে কিছু সংস্কার কাজ ছাড়া তেমন কোন পরিবর্তন করা হয়নি মসজিদটিতে। ১৯৭৫ সালের ১৪ মার্চ এই মসজিদকে জাতীয় সৌধ হিসেবে নির্ধারণ করা হয়।
প্রথম পর্বের লিংঙ্কঃhttps://www.protikhon.com/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%B0%E0%A6%BE-%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A6%B0-%E0%A6%A6%E0%A6%B6-%E0%A6%AE%E0%A6%B8/