বিস্ফোরণস্থলে বিশেষজ্ঞ দল প্রেরণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
চীনের তিয়ানজিন শহরের বিস্ফোরণস্থলে সামরিক বাহিনীর দুশো সদস্যের একটি রাসায়নিক বিশেষজ্ঞদল পাঠিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
বুধবার রাতে তিয়ানজিন বন্দরের কাছে রাসায়নিকের একটি গুদামে পরপর দুটি শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটে.যাতে নিহতের সংখ্যা দাড়িয়েছে অন্তত ৫০। আর আহতের সংখ্যা সাতশ ছাড়িয়ে গেছে।
রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম জিনহুয়া জানিয়েছে, যে বিধ্বংসী অগ্নিকান্ডের প্রায় ৩০ ঘন্টা পরও গুদাম থেকে কালো ধোয়ার কুন্ডুলি বেরুচ্ছে। বিস্ফোরণস্থলের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে, আহতদের উদ্ধার করতে হিমশিম খাচ্ছে উদ্ধারকর্মীরা। তবে বিস্ফোরণের কারণ এখনও জানা যায়নি।
চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, ওই এলাকার বাতাসে তীক্ষ্ণ গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে এবং সেখানকার মানুষেরও চোখে সমস্যা হচ্ছে বলে তারা অভিযোগ করছে।
ওই ঘটনায় আহত একজন সান কুমিন বলছেন-“প্রথমে আগুন দেখতে পেলেও বুঝতে পারিনি এটা এত বড় অগ্নিকান্ডের ঘটনা। বিস্ফোরণের জায়গা থেকে অনেক দূরে একটা কারখানায় আমি সিকিউরিটি গার্ডের কাজ করি। হঠাৎ শব্দ শুনে শুয়ে পড়ি , তারপরও আহত হই। আর সিকিউরিটি বুথগুলো পুরোই ধ্বংস হয়ে যায়”।
এদিকে চীনা সামরিক বাহিনীর একটি রাসায়নিক বিশেষজ্ঞ দলের প্রায় দুশোরও বেশি সদস্য পাঠানো হয়েছে বিস্ফোরণস্থলে। উদ্ধারকর্মীদের বলা হয়েছে তারা যেন শরীর সুরক্ষা করার মতো পোশাক পড়ে কাজ করে। রুইহাই লজিস্টিকস কোম্পানির যে গুদামে বিস্ফোরণ ঘটেছে সেখানে সোডিয়াম সায়ানাইডের মত আরো অনেক বিষাক্ত রাসায়নিক আদান-প্রদান হয়। বিস্ফোরণস্থলে রাসায়নিক বিশেষজ্ঞ দল পাঠিয়েছে চীনা সরকার
চীনের পরিবেশ সুরক্ষা ব্যুরোর প্রধান ওয়েন উরুই এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, বিস্ফোরণের ঘটনার পর তিয়ানজিনের বাতাস এবং পানিতে দূষণের মাত্রা কতটা তা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। তিনি বলেছেন, “বেশিদিন ধরে বিষাক্ত বাতাসে শ্বাস নেয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু আমরা পর্যবেক্ষণ করে দেখেছি এ মুহুর্তে জায়গাটিতে দূষণের মাত্রা সে পর্যায়ে পৌঁছেনি”।
চীনা কমিউনিস্ট পার্টির পত্রিকা দ্য পিপলস ডেইলি বলছে, উদ্ধারকর্মীরা ওই জায়গায় মজুদ ৭শ’ টন সোডিয়াম সায়ানাইড সরানোর চেষ্টা করছে। এই রাসায়নিকটিকে বিষমুক্ত করতে হাইড্রোজেন প্রিঅক্সাইডও প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে পত্রিকাটি।
প্রতিক্ষণ/এডি/তাফসির