বৈশাখী রঙে রাঙানো শাড়ি
শাড়ীতেই নারীর প্রকৃত সৌন্দর্য ফুটে
ওঠে। আর বৈশাখী হাওয়া ছুঁয়ে দিচ্ছে সবার হৃদয়। ব্যাকুল হয়ে রমনীকূল ছুটছে বিভিন্ন শাড়ির দোকানে। বৈশাখ বলে কথা।
বাঙালির স্বভাবগত চিরায়ত আনন্দকে সার্বজনীন এক আনন্দে ভরিয়ে দিতে বৈশাখ এসেছে আমাদের মনের দোয়ারে; বাহারি আনন্দের পশরা সাজিয়ে।
বৈশাখ মানেই লাল-সাদা- নীল শাড়ীর দৌড়াত্য। চোখের সীমানা যতদূর যায় তারচেয়েও দূরে হাসি-আনন্দে মশগুল ললনাকূল।
ছোট-বড়-বৃদ্ধ-তরুণী এক সারিতে বসে একই রকম শাড়ি পড়ে আকুল হয়ে কেউ শুনছে গান, কারো মুখে কথার ফুয়ারা আর কেউ দেখছে চারদিকের হৈ হল্লোর-আনন্দ কোলাহল।
যুগের হাওয়া বদলেছে। এখন এপার -ওপার মিলে নতুন নতুন ডিজাইন যোগ হয়েছে। ট্রেডিশনাল শাড়ির বাইরেও এখন পরদেশী ডিজাইনের শাড়ির প্রতি আকর্ষণ তৈরি হচ্ছে এক শ্রেণির রমণীদের মধ্যে।
এটাই সময়ের দাবী এবং সার্বজনীনতার চাহিদার সমন্বয়ক। বৈশাখী শাড়ীতে লালের ছোঁয়া না থাকলে কেমন অসম্পূর্ণ মনে হয়। লাল রঙ যেন উৎসবকে আরও রঙিন করে তোলে। তাই বলে সবাই লাল রঙ পড়বে তা যেমন বলা যায় না তেমনি সবাই একই ধরণের কাপড় পড়বে তাও বলা ঠিক হবে না।
তাছাড়া সময়টা এখন গরমের। তবে রুচি বলেতো একটা কথা আছে। অনেকে সময় দেখে নয়; ভালো লাগার ওপর নির্ভর করেও শাড়ির রং, ধরণ বাছাই করে।