নিজস্ব প্রতিবেদক
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষার্থীদের মান যাচাইয়ের ‘কিউমিউলেটিভ গ্রেড পয়েন্ট অ্যাভারেজ’ বা সিজিপিএ পদ্ধতি নিয়ে রয়েছে ভিন্নতা। ফলে চাকরির বাজারে বৈষম্যের শিকার হতে হচ্ছে এসব প্রতিষ্ঠান থেকে পাস করা ছাত্র-ছাত্রীদের।
সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পাশাপাশি দেশে উচ্চশিক্ষা বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বেসরকারি ৮২টি বিশ্ববিদ্যালয়। উচ্চশিক্ষা গ্রহণে আগ্রহীদের ৫৩ ভাগ ছাত্রছাত্রীই প্রতিবছর অধ্যয়ন করছেন এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। হাতেগোনা দুই একটি বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া প্রায় একই রকম অবকাঠামো এবং শিক্ষা সুবিধা নিয়েই কাজ চালিয়ে যাচ্ছে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
শিক্ষার্থীরা জানান, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪ পয়েন্ট পাওয়ার জন্য যেখানে ৮০ শতাংশ নম্বর পেতে হয়, সেখানে তাদের পেতে হয় ৯০ শতাংশেরও বেশি।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, চাকরির বাজারে এ অসম ফলাফল পদ্ধতির ফলে প্রাপ্ত সুযোগ থেকে বঞ্চিত হতে হয় তাদের। নম্বর বেশি পেলেও সিজিপিএ কম দেখানো হয়। চাকরির বাজারে তাদের সিজিপিএ দেখা হয়, নম্বর দেখা হয় না। তাই পিছিয়ে পড়ছেন তারা। সব বিশ্ববিদ্যালয়ে ফলাফলের একই মান নির্ধারণের দাবি জানিয়েছেন তারা।
এ ব্যাপারে ইস্ট-ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. আহমেদ শাফি বলেন, ‘যদি একই মানদণ্ড ব্যবহার করা হতো, তবে শিক্ষার্থীদের জন্য ভালো হতো। আর ইউজিসির দায়িত্ব সব বিশ্ববিদ্যালয়ের মান বজায় থাকছে কি না- তা তদারক করা।
সিজিপিএ পদ্ধতির ভিন্নতার কারণে শিক্ষার্থীদের সমস্যার কথা মানছেন শিক্ষাবিদরাও। এক্ষেত্রে ইউজিসি চেয়ারম্যান মনে করেন, ফলাফলের শর্ত না দিয়ে পাস করা সব শিক্ষার্থীকেই চাকরির আবেদনের সমান সুযোগ দেয়া উচিত। তবে বিজ্ঞপ্তিতে সিজিপিএ’র উল্লেখ না করাই ভালো।
প্রতিক্ষণ/ডেস্ক/সজল