টি২০ বিশ্বকাপ সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে পাক-ভারত ক্রিকেট যুদ্ধ দিয়ে দুই দলের বিশ্বকাপ মিশন শুরু হলো। দুপুরে শুরু হওয়া ম্যাচে পাক শিবির সংগ্রহ করেছে ১৫৯/৮ রান। জয় পেতে হলে ভারততে করতে হবে ১৬০ রান। মিডল অর্ডারের দৃঢতায় পাকিস্তান এই মাঝারি পুঁজি পেয়ে যায়।
টস জিতে ভারতের আগে বল হাতে তুলে নেয়া দেখেই বোঝা গিয়েছিল আজ রান করতে কষ্ট হবে। বাস্তবেই তা হয়েছে, ৪ ওভারে কোন ক্রমে ১৫ রান, তাতে নেই ২ উইকেট! তবে শান মাহমুদ আর ইফতেখারের দৃঢতায় (দুই ফিফটি) মুলত পাকিস্তান লড়াই করার পুঁজি পেয়েছে।
ভারতীয় বোলারদের ডেলিভারি গুলো সবই ছিল স্ট্যাস্পের উপর। বিশেষ করে অস্ট্রেলিয়ান বোলিং উইকেটে বল দেখতে আর বুঝতেই কষ্ট হচ্ছিল পাকিস্তানী টপ অর্ডারের রিজওয়ান আর বাবরের।
পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় দুই রান মেশিন রিজওয়ান ৪ রান করলেও বাবর আযম এলবি’র ফাঁদে কাটা পড়েন ০ শূন্য রানে। ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়লেও পাক শিবিরের মিডল অর্ডারে নামা শান মাহমুদ একাই লড়লেন। পাশে পেলেন ইফতেখার।
৪র্থ জুটি দলের রান ১৫ থেকে ৯১ অবদি নিতে ইফতেক্তার করলেন ৩৪ বলে ৫১ রান। আর ১৫ ওভার শেষে রান যখন ১০৬ তখন উইকেট পতন ঘটেছে ৫টি।
তবে শুরুতে যদি বিরাট কোহেলী রান আউট আর বাবরের ক্যাচ ধরতে পারতেন তাহলে পাকিস্তানের দলীয় স্কোর আরো খানিকটা কমে যেতে পারত। ১৮ ওভার শেষে ৭ উইকেটে ১৩৫ রানে থাকা পাক শিবিরের শেষ দিকের ভরসা ছিল শান মাহমুদ। ৩৮ বলে ৪৮ রানে ফিফটি দরজায় দাঁড়িয়ে থাকা এই পাক ব্যাটারের ব্যাটেই লড়াই করার পুঁজি পেয়ে যায় পাকিস্তান।
১৯তম ওভারে আফ্রিদি এক ছক্কা আর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে রানের গতি বাড়িয়ে দিলেন। আফ্রিদি ১৬ রান করে ক্যাচ দিলে ৯ম জুটিতে ভর দিয়ে পাকিস্তান ২০ ওভার শেষ করে সংগ্রহ করে ১৫৯ রান। তাতে শান মাহমুদের ছিল অপরাজিত ৪২ বলে ৫২।