ভালোবাসার টানে বিমানবন্দরে ১০ দিন
প্রতিক্ষণ ডেস্ক:
ভালোবাসার টানে মানুষ কতো কী-ই না করে! প্রিয়তমার সঙ্গে দেখা করতে সাত সমুদ্দুর, তের নদী পারি দেওয়ার কথাও আমরা জানি। এবার নেদারর্যান্ডের এক যুবক প্রেমিকার জন্য ভিনদেশে গিয়ে টানা ১০দিন বিমানবন্দরে কাটিয়েছেন। তারপরেও দেখা পাননি প্রেয়সীর। পরে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ঠাঁই হয়েছে সেই প্রেমিকের।
৪১ বছরের যুবক পিটার ক্লার্কের সঙ্গে অনলাইনে পরিচয় বছর ছাব্বিশের চীনা তরুণী ঝাংয়ের। এরপর চ্যাট, অল্প-স্বল্প প্রেমের গল্প। এভাবেই চলছিল। হঠাৎ ঝাংয়ের সঙ্গে দেখা করার কথা জানায় পিটার। কিন্তু কিভাবে? দুজনের মাঝে যে সাড়ে চার হাজার মাইলের দুস্তর ব্যবধান! কিন্তু তাতেও দমে যাওযার পাত্র নন পিটার। বিমানের টিকিট কেটে অনলাইনে ঝাংকে দেখিয়ে চীনের পথে রওনা দেন নেদারল্যান্ডের প্রেমিক যুবক।
এর পরের ঘটনা প্রেমের উলটপুরান। অচেনা দেশের চাংশা বিমানবন্দরে গিয়ে নামেন পিটার। কিন্তু ঝাংয়ের তো দেখা নেই! এমনকী তার সঙ্গে যোগাযোগও বন্ধ। কিন্তু প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে মরিয়া পিটার। ঝাংয়ের জন্য বিমানবন্দরেই অপেক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। ধনুর্ভঙ্গ পণ, দেখা না করে তিনি কিছুতেই ফিরবেন না। এভাবে এক-দুদিন করে দশ দিন পার। তবু দেখা নেই ঝাংয়ের, যোগাযোগও নেই। এদিকে বিমানবন্দরে প্রেমিকার আশায় বসে থাকা যুবকের ছবি ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়। উস্কোখুস্কো চেহারা আর খালি পায়ের পিটারের ছবি নজর কাড়ে চীনের সাংবাদিকদের। তারা খুঁজে বের করেন ঝাংকে।
কিন্তু ঝাং জানান, পিটার যে তার দেশে এসে পড়ে রয়েছেন তা তিনি জানেনই না! অনলাইনে পিটারের চীনে আসার কথা ও বিমানের কাগজপত্র দেখেও তা স্রেফ মজা-ই নাকি ভেবেছিলেন তিনি! এরপর গত কয়দিন প্লাস্টিক সার্জারি করতে অন্য প্রদেশে গিয়েছিলেন তিনি। তাই যোগাযোগও ছিল বন্ধ। তবে তিনি জানিয়েছেন, পিটারের সঙ্গে দেখা করতে চান তিনি, লম্বা করতে চান প্রেমের ইনিংসটাও।
এদিকে বিমানবন্দরে অসুস্থ হয়ে পড়েন পিটার। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাই তিনি এখনো জানাননি, ঝাংয়ের সঙ্গে প্রেমের দ্বিতীয় ইনিংস তিনি শুরু করবেন কি না।
প্রতিক্ষণ/এডি/একে
=====