ভ্যাম্পায়ার বাদুড়
প্রতিক্ষণ ডেস্ক:
এক ধরনের বাদুড় রয়েছে যাদের কর্মকাণ্ড ঠিক ভ্যাম্পায়ারের মতো। ইংরেজিতে এদের বলা হয়- ভ্যাম্পায়ার ব্যাট। সম্পূর্ণ অন্ধকার স্থান যেমন- গুহা, পরিত্যক্ত কুয়া, ফাঁপা গাছের গুড়ি কিংবা পুরনো পোড়োবাড়িতেই এদের বাস। পৃথিবীর সব জায়গায় দেখতে পাওয়া যাবে না এই বাদুড়গুলোকে। মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকার বনাঞ্চলে দেখা মিলবে এদের।
এই বাদুড়গুলো রক্তপান করেই বেঁচে থাকে। এ জন্য বাদুড়কে বাস্তবের ভ্যাম্পায়ার হিসেবেই আখ্যায়িত করা হয়। এরা মানুষের রক্ত পান করলেও, মানুষই এদের প্রধান শিকার নয়। এদের প্রধান শিকার গরু, ঘোড়া, এবং অন্যান্য গবাদি পশু।
এদের ওপরের চোয়ালের সামনের সারিতে দুটি তীক্ষ্ম ছেদক দাঁত রয়েছে। বাদুড়গুলো এ দাঁতের সাহায্যে শিকারের শরীরে ক্ষত তৈরি করে, এ থেকে বের হওয়া রক্তপান করে বেঁচে থাকে।
তবে শিকারের শরীর থেকে বের হওয়া এ রক্ত যাতে কোনো ব্যাঘাত ছাড়া পান করতে পারে সেকারণে বাদুড়টি তার মুখ থেকে বিশেষ এক ধরনের লালা নিঃসরণ করে। এ লালা রক্তকে জমাট বাঁধতে দেয় না এবং প্রাণীর শরীরে যে স্থানে বাদুড় দাঁত বসায় সে স্থানটি অবশ করে ফেলে ।
এতে প্রাণীটি কিছুই অনুভব করতে পারে না ফলে বাদুড়টি খুব দ্রুত ও নিজের সুবিধামতো রক্তপান করতে পারে।
এরা মানুষ বা অন্য কোনো প্রাণীর শরীর থেকে যে রক্ত পান করে, তার পরিমাণও খুবই সামান্য। এর ফলে মৃত্যুর সম্ভাবনা নেই। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে যে স্থানে বাদুড়ের মুখ থেকে নিঃসৃত লালা থাকে সেস্থানে রক্ত জমাট বাঁধতেই পারে না। রক্তপাত ঘটতেই থাকে।
ছোটোখাটো কোনো প্রাণীর দেহে এমন ক্ষতের সৃষ্টি হলে শুধুমাত্র অতিরিক্ত রক্তপাতের কারণেই প্রাণীটির মৃত্যু হয়। সঠিক চিকিৎসায় রক্তপাত বন্ধ না করা গেলে মৃত্যুর ঝুঁকিতে থাকে মানুষও।
প্রতিক্ষণ/এডি/এস.আর.এস