মহাকাশে ফুল ফোটালো নাসা
মহাকাশে ‘জিনিয়া’ ফুল ফোটালো মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। এই কৃতিত্বের দাবিদার নাসার গবেষক স্কট কেলি।
আন্তর্জাতিক মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র (ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন, সংক্ষেপে আইএসএস)-এ উদ্ভিদের প্রাণের স্পন্দন নতুন নয়। মানুষের বাসযোগ্য কৃত্রিম উপগ্রহটির ভেজ-ল্যাবে আগে লেটুস জাতীয় সবজি ফলানো হয়েছে। কিন্তু এই প্রথম ফুল ফুটলো মহাকাশের ঘরে।
প্রোজেক্ট ম্যানেজার ট্রেন্ট স্মিথ বলেন, লেটুসের সঙ্গে জিনিয়ার কোনো তুলনাই হয় না। কারণ, এগুলো রীতিমতো কসরত করে ফলাতে হয়েছে আইএসএসের কৃত্রিম আবহাওয়ায়। পরিবেশ বা সূর্যালোক, জিনিয়ার জন্য দু’টোই খুব গুরুত্বপূর্ণ। আর দু’টোর কোনটাই আইএসএস-এ নেই। তাছাড়া জিনিয়ার জন্ম এবং বড় হতে সময় লাগে ৬০-৮০ দিন যা লেটুসের চেয়ে বেশি।
আইএসএসের সবজি বাগানটা বেশি পুরোনো নয়। ২০১৪ সালেই তৈরি করা হয়েছিল। লেটুস চাষ সফল হওয়ার পর জিনিয়া লাগান গবেষকরা। কিন্তু গবেষণার প্রথমেই বিপাকে পড়েন তারা। জল একটু বেশি হয়ে গেলেই পচন ধরতে শুরু করে গাছে। পরে গাছগুলোকে বাঁচাতে ইলেকট্রিক ফ্যান লাগানো হয় যাতে গাছের পাতায় লেগে থাকা জল তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়। কিন্তু তাতে আবার দেখা দেয় উল্টো বিপত্তি। এবার জলাভাবে একের পর এক গাছ মরতে থাকে। বেঁচে যায় হাতে গোনা কয়েকটি গাছ। তারই মধ্যে একটিতে ফুল ধরে। ৮ জানুয়ারি প্রথম কুঁড়ি আসে বলে জানান বিজ্ঞানীরা।
স্কট জানালেন, ফুল ধরেছে ঠিকই। কিন্তু বেশ দুর্বল। পাপড়িগুলো দু’দিক থেকে মুড়ে গিয়েছে। কারণটা অবশ্যই ‘জিরো গ্র্যাভিটি’। আইএসএস-এ মাধ্যাকর্ষণ শক্তি নেই বললেই চলে।
নাসার ‘হিউম্যান রিসার্চ প্রোগ্রাম’ এর অন্যতম প্রধান বিজ্ঞানী আলেক্সান্দ্রা হিটমায়ার বলেন, এমন কৃত্রিম পরিবেশে জিনিয়ার জন্ম মোটেই ছোটখাটো ব্যাপার নয়। এবার টোমেটো, বাঁধাকপি চাষ করা যেতে পারে।
প্রতিক্ষণ/এডি/এফটি