মাগুরায় বিকল্প মাদক হিসেবে ‘ওপিফিন’ এর চাহিদা তুঙ্গে !

প্রকাশঃ ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২০ সময়ঃ ১১:৪৬ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ১২:২৬ পূর্বাহ্ণ

সম্প্রতি প্রশাসনের কড়া পদক্ষেপ এর মধ্যে মাদকদ্রব্য ইয়াবার ব্যবহার ও প্রচলন বেশ নিয়ন্ত্রণের মধ্যে চলে এসেছে।

মাগুরা জেলায় বেশ কিছু চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ী পুলিশের হাতে ধরা পড়ায়, ইয়াবা অনেকটা দুষ্প্রাপ্য হয়ে গেছে, বেড়ে গেছে ইয়াবার বাজার মূল্য। তাই মাদকসেবীরা ‌ ইয়াবা থেকে মুখ সরিয়ে নতুন মাদক “ওপিফিন” এ আকৃষ্ট হয়েছে। এই “ওপিফিন” বিক্রিতে মাগুরা সদর হাসপাতাল গেটে ঔষধ দোকানদারদের মধ্যে গড়ে উঠেছে একটি সক্রিয় চক্র। কোন নিয়ম নীতির পরোয়া না করে বিনা প্রেসক্রিপশনে দেদারছে বিক্রি করছে এই “ওপিফিন” ইনজেকশন।

“ওপিফিন” মূলত চেতনানাশক একটি ঔষধ, যা অপারেশন রোগীর জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে, উপসর্গ হিসেবে রোগীর ঘুমঘুম ভাব আসে। ওপিফিন ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া বিক্রয় সম্পূর্ণ নিষেধ।

৪০ টাকা মূল্যের এই ইনজেকশন টি, অবৈধভাবে ওষুধের দোকানদারা মাদকসেবীদের কাছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করে থাকে। নামমাত্র ফার্মেসি খুলে বসে থাকা, কিছু ওষুধ বিক্রেতাদের মূল ব্যবসাই হচ্ছে মাদকসেবীদের কাছে “ওপিফিন” বিক্রি করা।

সরেজমিনে দেখা যায় মাগুরা সদর হাসপাতালের আশেপাশে এবং পশ্চিম পাশের শুভেচ্ছা স্কুলের মাঠে হাজার হাজার “ওপিফিন” এর খালি ইনজেকশন ও সিরিঞ্জ পড়ে আছে। সন্ধ্যার পরে এই এলাকাটা কিছুটা অন্ধকার থাকায় মাদকসেবীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মনে ক্রমশই ক্ষোভ দানা বাঁধছে সন্ধ্যার পরে মেয়েদের বেরোনোই অনেকটা দুঃসাধ্য হয়ে পড়ছে।

মাগুরা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অফিসার এসআই আতোয়ার এর সাথে আলাপকালে তিনি জানান “জিনিসটা আমাদের জানা ছিল না, এখন যেহেতু আমরা জানতে পারলাম, তড়িৎ ব্যবস্থা নেব”। মাগুরা সদর থানার ওসি জানান ” সন্ধ্যার পরে ওই এলাকায় টহল বাড়িয়ে দেব, এবং এই মাদকসেবীদের দেখামাত্রই পুলিশকে ফোন করার জন্য এলাকাবাসীর প্রতি অনুরোধ জানান।”

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G