মাদকাসক্তির উদাহরণ, যার বিরুদ্ধে অবিলম্বে পদক্ষেপ করা উচিত বলে মনে করছেন যোগগুরু। বলিউডের তারকাদের মধ্যে রামদেব নাম নিলেন সলমন, আমির আর শাহরুখ-তনয় আরিয়ানের। বলিউড নেশার আখড়া। মদ তো সবাই খান। তবে বলিউডের খানেদের নিয়ে বিশেষ দুশ্চিন্তা প্রকাশ করলেন যোগগুরু রামদেব।
এক ভাষণে বললেন, সলমন খান নিয়মিত মাদক সেবন করেন। আমির খান নেশা করেন কি না জানা না গেলেও শাহরুখ-পুত্র আরিয়ান খান যে নেশাসক্তির জ্বলন্ত উদাহরণ, তা-ও উল্লেখ করলেন রামদেব। খানেদের কথার সূত্র ধরে তিনি দাবি করেন, মাদক নেন অনেক তারকাই। তবে আর নয়। মাদকাসক্তির বিরুদ্ধে তিনি আন্দোলনে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানালেন রামদেব। দেশবাসীকে মাদকমুক্ত রাখাই তাঁর উদ্দেশ্য। মোরাদাবাদে আর্যবীর এবং বীরাঙ্গনা সম্মেলনে রামদেব নাম নিলেন বেশ ক’জন তারকার। যাঁদের মধ্যে প্রথম সলমন খান। কী করেছেন ভাইজান? রামদেবের কথায়, ‘‘সলমন খান মাদক নেন। আমির খানের কথা বলতে পারব না। শাহরুখের ছেলে মাদক-কাণ্ডে ধরা পড়ে জেল খাটল। অভিনেত্রীদের ভগবানের নামেই ছেড়ে দিলাম।’’
রামদেব আরও বলেন, ‘‘ইন্ডাস্ট্রির সর্বত্র মাদক। রাজনীতিতেও মাদকের ছড়াছড়ি। ভোটের আগে মদের বোতল বিলি করা হয় ঘরে ঘরে। আমরা এর সমাধান চাইছি। দেশকে সব রকমের নেশা থেকে মুক্ত করতে চাইছি। এর জন্য আন্দোলন করব আমরা।”
অন্য দিকে, সম্প্রতি সিবিএসসি, আইসিএসসি-র ধাঁচেই হরিদ্বারের ভারতীয় শিক্ষা বোর্ডকে স্বীকৃতি দিয়েছে কেন্দ্র। পতঞ্জলি যোগ পীঠের অধীনে থাকা বৈদিক শিক্ষা-নির্ভর ওই বোর্ডটি গঠনে মূলত উদ্যোগী হয়েছিলেন যোগগুরু রামদেব। শিক্ষা মন্ত্রকের অধীনে থাকা অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ান ইউনিভার্সিটিজ় (এআইইউ) ওই বোর্ডকে স্বীকৃতি দেয়। হরিদ্বারের ওই বোর্ডের ধাঁচেই স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে উজ্জয়িনীর মহর্ষি সন্দীপনী রাষ্ট্রীয় বেদ সংস্কৃত শিক্ষা বোর্ডকে। ওই দু’টি বোর্ড থেকে পাশ করা পড়ুয়াদের অন্য রাজ্য বোর্ড বা সিবিএসসি-আইসিএসসি বোর্ড থেকে পাশ করাদের সমতুল্য হিসাবে বিচার করা হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। বিরোধীদের মতে, এ ধরনের সিদ্ধান্ত হল শিক্ষার গৈরিকীকরণের আদর্শ উদাহরণ।
সূত্র : আনন্দবাজার