৮ জনের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের তদন্ত চূড়ান্ত
আদালত প্রতিবেদক, প্রতিক্ষণ ডট কম
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামালপুরের আট অপরাধীর বিরুদ্ধে আজ মঙ্গলবার তদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। অপরাধের সময়কাল ১৯৭১ সালের ২২ এপ্রিল থেকে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ধরা হয়েছে।
৯২ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদনে আটজনের বিরুদ্ধে হত্যা, লাশ গুম, লুটপাট, নির্যাতন ও অপহরণসহ ১০ ধরনের অপরাধ সংগঠনের অভিযাগ আনা হয়েছে। এছাড়া ১৯৬ পাতার দালিলিক প্রমাণ জমা দেওয়া হয়েছে এবং ৪০ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার প্রধান সমন্বয়ক আবদুল হান্নান খান আজ বেলা ১১টায় এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান। তিনি বলেন, আজই প্রতিবেদনটি প্রসিকিউশন কার্যালয়ে জমা দেওয়া হবে।
ওই আট জনের মধ্যে দুজনকে ইতোমধ্যে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা হলেন জামালপুর শহরের নয়াপাড়া এলাকার অ্যাডভোকেট শামছুল হক (৭৫) ও সিহংজানি বালক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক শহরের ফুলবাড়িয়া এলাকার অধিবাসী এস এম ইউসুফ আলী (৮২)।
গত ৩ মার্চ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হলে তাদের কারাগারে পাঠিয়ে তদন্ত সংস্থাকে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল।
গ্রেফতারের আগের দিন প্রসিকিউশনের আবেদনের ভিত্তিতে আটজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন বিচারপতি ওবায়দুল হাসান নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-২।
এ মামলায় বাকি আসামিরা হলেন মো. আশরাফ হোসেন, অধ্যাপক শরীফ আহমেদ ওরফে শরীফ হোসেন, মো. আব্দুল মান্নান, মো. আব্দুল বারি, হারুন, মো. আবুল কাসেম।
প্রসিকিউটর তাপস কান্তি বল জানান, মুক্তিযুদ্ধকালে শান্তি কমিটি ও আল বদর বাহিনী গঠনে বিশেষ ভূমিকা রাখেন এই দুই জামায়াত নেতা অ্যাডভোকেট শামছুল হক ও এসএম ইউসুফ আলী। মুক্তিযুদ্ধের সময় জামালপুরে সংঘটিত অপরাধগুলোর সঙ্গে এই আট জনেরই বিশেষ সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে।
তদন্ত সংস্থা জানায়, এই যুদ্ধাপরাধীরা একাত্তরে জামালপুরে ১০ হাজার মানুষকে হত্যা, ৫০ হাজার বাড়িঘর ধ্বংস করে প্রায় ১২ কোটিটাকার ক্ষতি সাধন করে। অন্য ছয়জন একাত্তরে আল বদর বাহিনীর সক্রিয় সদস্য ছিলেন। এসব রাজাকারের নেতৃত্বে সেসময় জামালপুরের পিটিআই টর্চার সেল ও আশেক মাহমুদ কলেজের হোস্টেলে নির্যাতন ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
প্রতিক্ষণ/এডি/রবি