মাহমুদুর রহমান মান্না আটক

প্রকাশঃ ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৫ সময়ঃ ৫:৫৮ পূর্বাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৮:২০ পূর্বাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রতিক্ষণ ডটকম:

indexনাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নাকে আটক করেছে সাদা পোশাকধারী ডিবি পুলিশ। বানানীর একটি বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়েছে।

মঙ্গলবার ভোর ৩ টার দিকে তাকে আটক করা হয়। আটক করে তাকে মহানগর গোয়েন্দা কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু এখনও জানা যায়নি।

স্ত্রী মেহের নিগার ও নাগরিক ঐক্যের কেন্দ্রীয় কমিটির একজন সদস্য  মান্নাকে আটকের খবর সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে সোমবার নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নাকে গ্রেফতারের দাবি উঠে মন্ত্রিসভায়। সেনা হস্তক্ষেপ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লাশ ফেলার বিষয়ে তার টেলিফোন কথোপকথন নিয়ে সোমবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা তুলেন কয়েকজন মন্ত্রী।

এ কথোপকথনকে গভীর ষড়যন্ত্র হিসেবে আখ্যায়িত করে মন্ত্রিসভার সদস্যদের অনেকেই মান্নাকে গ্রেফতারের দাবি জানান। আবার কেউ কেউ মান্নাকে বিএনপির ‘পেইড এজেন্ট’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। সংবাদমাধ্যমে মাহমুদুর রহমান মান্নার দুটি পৃথক অডিও প্রকাশ হয়।

মন্ত্রীদের ক্ষোভের কথা শোনার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কথোপকথনের যে তথ্য ফাঁস হয়েছে, তাতে স্পষ্ট যে তারা একটা ষড়যন্ত্র নিয়ে অগ্রসর হচ্ছেন। এখন আপনারাই চিন্তা করেন, ভেবে দেখেন, কি করা যায়।

সূত্র জানায়, মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য মাহমুদুর রহমান মান্নার আগের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়েও কথা বলেছেন। তারা বলেন, মান্না একেক সময় একেক দল করেছেন। কখনও জাসদ, কখনও বাসদ, এরপর আওয়ামী লীগ- এভাবে দল বদল করেছেন। তার নিজের রাজনৈতিক কোনো চরিত্র নেই। এ নিয়ে হাস্যরসও হয় মন্ত্রিসভায়।

উল্লেখ্য, এক সময়ের বামধারার ছাত্রনেতা ও ডাকসুর সাবেক ভিপি মাহমুদুর রহমান মান্না আশির দশকে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। ২০০৭ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় সংস্কারপন্থী হিসেবে পরিচিতি পান তিনি। তখন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের পদে ছিলেন তিনি। ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর পদ হারান মান্না।  এর পর নাগরিক ঐক্য নামে একটি দল গঠন করেন নিজেই।

প্রতিক্ষণ/এডি/মাসুদ

 

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G