মা-মেয়ে হত্যায় দুই বন্ধুর ফাঁসি

প্রকাশঃ অক্টোবর ১, ২০১৫ সময়ঃ ৫:৩০ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৫:৩০ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক

ctg 2নগরীর আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসকি এলাকায় মা-মেয়েকে হত্যার দায়ে মেয়ের কথিত প্রেমিক ও তার বন্ধুকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার আদেশ দিয়েছে চট্টগ্রামের একটি আদালত।একই রায়ে উভয় আসামীকে পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মহিতুল হক এনাম চৌধুরী বহুল আলোচিত মামলাটির এ রায় দেন।

এসময় মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি কথিত প্রেমিক আবু রায়হান ওরফে আরজু (২৩) ও তার বন্ধু শহীদকে (২৭) কারাগার থেকে আলাদাতের কাটগড়ায় হাজির করা হয়।

দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাডভোকেট আইয়ূব খান বাংলামেইলকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ২৪ মার্চ সকালে নগরীর ডবলমুরিং থানার আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকার ১৭ নম্বর সড়কের যমুনা নামে একটি ভবনের চতুর্থ তলায় সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ী রেজাউল করিমের স্ত্রী রেজিয়া বেগম (৫০) ও এসএসসি পরীক্ষার্থী মেয়ে সায়মা নাজনীন নিশাতকে (১৬) কুপিয়ে ও পায়ের রগ কেটে হত্যা করা হয়। এঘটনার পর দিন রেজাউল করিম একটি মামলা দায়ের করলে সিএমপির ডিবির একটি দল ঢাকার ফকিরাপুলের একটি হোটেল থেকে নিশাতের কথিত প্রেমিক আরজুকে এবং নগরীর খুলশী থানার পাঞ্জাবী লেইন থেকে শহীদকে গ্রেপ্তার করে।

এঘটনায় দু’জনেই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। তারা স্বীকার করেন, প্রেমে প্রত্যাখাত হয়ে আরজু নিশাতকে খুনের সিদ্ধান্ত নেয়। একাজে সহায়তা করতে ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে তার বন্ধু শহীদকে ভাড়া করে। পরে দু’জনে মিলে আড়াইশ টাকা দিয়ে একটি দেশীয় অস্ত্র (টোঁটা) তৈরি করে। পরে ২৪ মার্চ সকালে সুযোগ বুঝে নিশাতদের বাসায় ঢুকে প্রথমে মেয়েকে পরে মাকে কুপিয়ে হত্যা করে। পরে দু’জনেরই পায়ের রগ কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে খুনিরা বাসা থেকে বেরিয়ে যায়।

এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ২০১৪ সালের ২৫ মে গ্রেপ্তার দুই আসামি আরজু ও শহীদকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আট পৃষ্টার অভিযোগপত্রে ৩৭জনকে সাক্ষী করা হয়। এরমধ্যে ৩০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণা করা হয়।

প্রতিক্ষণ/এডি/এনজে

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G