মুক্তিযোদ্ধার বিধবা স্ত্রীকে জোরপূর্বক ভিটা ছাড়া

প্রকাশঃ সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৫ সময়ঃ ৬:৩৪ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৬:৪৬ অপরাহ্ণ

নিজেস্ব প্রতিবেদক

bidhobaস্বামীর পৈতৃক ভিটা থেকে জোরপূর্বক উচ্ছেদ করা হলো দুস্থ্য-বিধবা ৬৫ বছর বয়সের বীর মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী রাবেয়া বেগমকে। বুহস্পতিবার বিকেলে রাজধানী গেন্ডারিয়া ধূপখোলা মাঠের পশ্চিম পাশের ডিস্টিলারী রোডের ১১৬নং বাড়ীতে হামলা চালিয়ে এই বিধবা পরিবারকে উচ্ছেদ করা হয়।

বাড়ীটিতে তালা লাগিয়ে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা।এ সময় ঘটনাস্থল থেকে গেন্ডারিয়া থানা পুলিশকে বারবার জানানো হলেও তারা কোন ব্যবস্থা নিতে পারবেনা বলে সাফ জানিয়ে দেয়।

রাবেয়া বেগম জানান, আমার অপরাধ আমি মেয়র হানিফের পোলার সমর্থক!আমার ছেলে নিজাম সদ্য সমাপ্ত সিটি নির্বাচনের সময় সাঈদ খোকনকে সমর্থন করে। এতে তাদের সাথে স্থানীয়দের বিরোধ সৃস্টি হয়।

রাবেয়া বেগম আরো জানান, আমার একটা মেয়ে পাগল। আমার জ্ঞান হওয়ার পর থেকে আমি বঙ্গবন্ধুকে সমর্থন করি। আমি একাত্তর, পচাত্তর দেখেছি। স্বাধীন হওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত আওয়ামী লগের কাছ থেকে কোন সাহায্য চাইনি- শুথু সমর্থন করেছি। স্বামীর মৃত্যুর পর খেয়ে না খেয়ে এই ভিটাটুকু নিয়ে বেছে আছি। আজ আমি এই পাগল মেয়েটাকে নিয়ে কোথায় যাব? বিনা অপরাধে আমাকে আমার বাড়ী থেকে উচ্ছেদ করা হচ্ছে। আমি গরীব বলে কি বিচার পাবনা? অবস্থা যদি এমন হয়, তাহলে দেশে সরকারের দরকার কি!

হামলার সময় স্থানীয় জমি দখলকারী সন্ত্রসীরা ভুয়া দলিল দেখিয়ে মসজিদের নাম ভাঙিযে দাবি করে বাড়িটি রাবেয়ার স্বামী মুক্তিযোদ্ধা সাহাবুদ্দিন মৃত্যর আগে মসজিদ কমিটির নামে দিয়ে গেছে। তাই মসজিদ কমিটির নির্দেশেই বাড়ী ভাঙা হচ্ছে।

এ ব্যপারে মসজিদ কমিটির সাথে কথা হলে তারা হুমকির সাথে জানায়, বাড়ি আমাদের আমরা ভাঙছি-কোন আইনি নোটিশ নেই- লাগবেও না। গেন্ডাড়িয়া থানার ওসি জাহাঙ্গীরের নির্দেশেই বাড়িটি ভাঙা হচ্ছে এবং তার উপর কমিশনারের নির্দেশ আছে।

রাবেয়া বেগমের পুত্র নিজাম জানায়, বাড়িটিতে আমরা দীর্ঘ ৬৫ বছর ধরে বসবাস করছি আজ তারা জোরপূবক এ হামলা চালিয়েছে। সাংবাদিকরা ছবি তুলতে আসলে তাদেরকে টাকা দেয়া হচ্ছে।

নিজাম দাবি করে, ঘটনার আগের দিন রাতে গেন্ডাড়িয়া থানায় গেলে ডিউটি অফিসার নাসির তাদের জিডি করতে বলে। পরে তারা জিডি করে-জিডি নং-৭১২। তবে ঘটনার সময় বারবার তাদের জানানো হলে তারা কোন পদক্ষেপ নেয়নি।

এ ব্যাপারে গেন্ডারিয়া থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম জানান, এ ব্যপারে আমাদের কিছু করার নেই। কমিশনারের নির্দেশে সব হচ্ছে। আমরা কিছুই করতে পারব না

 

প্রতিক্ষণ/এডি/এফজে

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G