ডেস্ক রিপোর্ট, প্রতিক্ষণ ডট কম
জীবন্ত প্রাণীর পেট চিরে বোধহয় অন্যকোনও রত্ন সংগ্রহ করা হয় না। এক্ষেত্রে ‘মুক্তা’ একমাত্র উদাহরণ। প্রাচীনতম রত্ন খুঁজতে গেলেও সবার আগে নজের আসে এই মুক্তা। লকেট, দুল, মালা, নেকলেস, টায়রা, টিকলি, ব্রেসলেট, আংটি, নাকফুলসহ যে কোনও গহনা
এমনকি ব্যাগ এবং পোশাকেও শোভা বাড়াতে মুক্তা অপ্রতিদ্বন্দী এখনও। আভিজাত্যের পরশে মানিয়ে যায় সব বয়স ও সব পোশাকের সঙ্গে। তাই মুক্তার দাম ও চাহিদা দুইই বেশি। দৌড়ে অবশ্য এগিয়ে থাকবে প্রাকৃতিক মুক্তাই। বাজারে সাধারণত কৃত্রিম মুক্তাই বেশি পাওয়া যায়।
কৃত্রিম ভাবে চাষের ফলে দাম বেশ পড়লেও ঢাকার বাজারে অপ্রতুল নয় মোটেও। নগরীর বেশকিছু শপিংমল যেমন পিংক সিটি, মেট্রো, বসুন্ধরা সিটি, সীমান্ত স্কয়ারে রয়েছ মুক্তার গহনার দোকান। এছাড়া চাঁদনিচক ও নিউমার্কেটের জুয়েলারির দোকানেও পাওয়া যায় খোঁজ মিলবে অল্পবিস্তর। শুধু গহনাই নয় চোখে পড়বে মুক্তাখচিত হেয়ার ক্লিপ, সানগ্লাস, মোবাইল ফোন এমনকি ব্যাগও।
মুক্তার দরদাম নির্ভর করবে কতটা খাঁটি তার ওপর। সাধারণ লকেট পাওয়া যাবে ৩০০ থেকে ৪০০০ টাকার মধ্যে। কানের ছোট টপ ১০০ থেকে ৫০০ টাকা আর দুল ২০০ থেকে ৭০০ টাকা। এক লহরের মুক্তার মালা পড়বে ২০০০ থেকে ৭০০০ টাকা।
অর্থমূল্যে মুক্তার গুরুত্ব বোঝা যায় না। সাধ আর শখের নিক্তিতেই মুক্তা সবসময়ই ‘ওজনদার’ রত্ন। এর যত্নে তাই প্রয়োজন বাড়তি মনোযোগ। চোখ বুলিয়ে নিন ঝটপট কিছু পরামর্শে-
– অন্য সব গয়নার মতোই মুক্তার গয়না পরতে হবে সবার শেষে আর খুলতে হবে সবার আগে।
– গয়না পরার আগেই মেকআপ, সুগন্ধী যা মাখার মেখে নিন।
– এসিড বা অন্য কোন ক্ষতিকর ক্যামিক্যাল থেকে দূরে রাখুন।
– মুক্তার আংটি বা ব্রেসলেট পরে ভারি কাজ করবেন না। স্ক্র্যাচ পড়ে গেলে ঠিক করা সম্ভব হবে না।
– ব্যবহার শেষে নরম কাপড় দিয়ে মুছে তারপর নরম কাপড় বা তুলায় মুড়িয়ে সংরক্ষণ করুন।
– এমনিতে মুক্তা নিয়মিত পরিস্কার করতে হয়না। তবে ময়লা পড়লে বেবি শ্যাম্পু অথবা ভালো মানের সাবান পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। তারপর শুকনা নরম কাপড় দিয়ে মুছে ফেলুন। নিজ থেকে পলিশ করতে যাবেন না। প্রয়োজনে প্রফেশনালদের সাহায্য নিন।
– বারবার হাত দিয়ে নাড়াচাড়া বা টানাটানি না করাই ভালো। গয়না অবিন্যস্ত হয়ে যেতে পারে।
– সোনা, রুপা বা অন্য কোনো গহনার সঙ্গে মুক্তার গহনা না রাখা ভালো। আর এক বাক্সে ধাতব গয়না রাখলে
– মুক্তোর গয়না রাখতে কোমল ব্যাগ ব্যবহার করুন এবং ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্যাদি থেকে দূরে রাখুন। একবার দাগ পড়ে গেলে তা তোলা মুশকিল।
– প্লাস্টিক বা পলিথিনের ব্যাগে মুক্তার গয়না রাখবেনা। মুক্তা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
– সূর্যের তীব্র আলো থেকে মুক্তা দূরে থাকাই ভালো। বেশিক্ষণ তীব্র আলোতে থাকলে রং চটে হলদে ভাব চলে আসতে পারে। আবার বেশি তাপমাত্রায়, ৬০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের বেশি, শুকিয়ে মুক্তায় ফাটল ধরতে পারে।
– ভল্টের রাখলে ভল্টের ভেতর এক গ্লাস পানি রেখে দিতে পারেন। এতে মুক্তা আর্দ্র থাকবে।
– আর অবশ্যই একটানা অনেক দিন বাক্সে বন্দি করে রাখবেন না। আর্দ্রতা কমে যাবে এবং অনুজ্বল দেখাবে।
প্রতিক্ষণ/এডি/রবি