মুগ্ধ হবার মতো ১০টি প্রাকৃতিক বিস্ময়
নিজস্ব প্রতিবেদক
পৃথিবী জুড়ে এতো বেশী সৌন্দর্য ছড়িয়ে রয়েছে যা আমাদের ধারণারও বাইরে। আমরা কয়েকটি জিনিস থেকেই মনে করি সব দেখা হয়ে গিয়েছে। আসলে কোনো কিছুই দেখা হয় নি। বিশাল পৃথিবীর অপরূপ সৌন্দর্যের ছিটেফোঁটাও নজরে পড়ে নি আমাদের। প্রকৃতির অপরূপ খেয়াল এবং অসাধারণ কারুকাজ নজর এড়িয়ে চলে এই যান্ত্রিক জীবনে।
১) পামুক্কেল, তুর্কি:
প্রচ্ছদের অসাধারণ সৌন্দর্যের এই গরম পানির ঝর্ণা কিন্তু মানুষের দ্বারা তৈরি নয়। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক মিনারেলসে তৈরি এই স্থানটি বর্তমানে রেস্ট্রিক্টেড রয়েছে টুরিস্টদের জন্য।
২) গ্রেট ব্লু হোল, ব্লেইজ:
এটি সুইমিং পুলের মতো দেখা গেলেও এটি মানুষের তৈরি কিছুই নয়। প্রায় ৩০০ মিটার জায়গা জুড়ে এবং ১২৫ মিটার গভীর এই প্রাকৃতিক গর্তটি প্রকৃতিরই খেয়াল।
৩) প্লিটভাইসার সিন, ক্রোয়েশিয়া:
১৬ টি লেক একটির পর একটি ছোট ছোট ঝর্ণা দিয়ে একসারিতে সাজানোর কাজটি প্রযুক্তির মনে হলেও এটি পুরোপুরি প্রাকৃতিক অপরূপ সৌন্দর্যের একটি স্থান। আপনি পাশের তৈরি পথটি দিয়ে সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন অথবা নৌকোয় ঘুরে আসতে পারেন।
৪) Zangye Danxia, চীন:
অদ্ভুত সৌন্দর্যের এই রঙিন পাহাড়ের কারুকাজ প্রকৃতির অদ্ভুত খেয়াল। এটি দেখতে চাইলে ঘুরে আসতে পারেন চীন থেকে।
৫) স্ট্রিপড আইসবার্গ, অ্যান্টার্টিকা:
বরফখন্ড আমরা মূলত সাদা রঙেরই দেখে থাকি। কিন্তু সৌন্দর্যের আরেকটি উদাহরণ হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করতে এই বরফখন্ড সেজেছে সাদা নীলের স্ট্রাইপে।
৬) দ্য ডোর টু হেল, তুর্কেমেনিস্তান:
প্রায় ৪০ বছর ধরে এই স্থানটি জ্বলে চলেছে। এখানেও কিছুটা কীর্তি রয়েছে জিওলজিস্টদের। তারা ড্রিলিংয়ের জন্য কাজ করতে গিয়ে এই প্রাকৃতিক গ্যাস ফিন্ডে আগুন ধরে যায়। তখন থেকে এখনো এটি জ্বলেই চলেছে।
৭) Côte d’Albâtre, ফ্রান্স:
সাদা শুভ্র এই সমুদ্র সৈকতটি প্রায় ৮০ মাইল জুড়ে বিস্তৃত, এবং প্রায় ১০০ মিটার উঁচু। সত্যিই অসাধারণ প্রকৃতির খেয়াল।
৮) ব্রেইস ক্যানিয়ন, ইউএসএ:
সমুদ্র সমতল থেকে প্রায় ২০০০ মিটার উঁচু এই অদ্ভুত ধরণের পিরামিডের মতো পাথুরে স্তম্ভগুলো সত্যিই প্রকৃতির দারুণ অদ্ভুত খেয়াল।
৯) Salar de Uyuni, বলিভিয়া:
পৃথিবীর সবচাইতে বড় লবণাক্ত লেক যা প্রাক ১০,৫৮২ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত বিশ্বের সবচাইতে বড় আয়না হিসেবেও পরিচিত। কেন বলা হচ্ছে আপনি নিজেই দেখে নিন ছবি দেখে।
১০) Fly Geyser, নেভাডা, ইউএসএ:
এই বিস্ময়কর স্ট্রাকচারটি ১৯৬৪ সালে ড্রিলিংয়ের সময় আকস্মিক দুর্ঘটনায় জিওথারমাল এনার্জির কারণে মিনারেলস উপরে উঠে তৈরি হয়ে যায়। যদিও দুর্ঘটনার মাধ্যমে তৈরি, তারপরও এর উপরে উঠে যাওয়া মিলারেলস ও স্ট্রাকচার তৈরি করা সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক।
প্রতিক্ষণ / এডি / সজল