মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার সবচেয়ে বীভৎস পন্থা
ডেস্ক রিপোর্ট, প্রতিক্ষণ ডট কম:
অপরাধির জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি হচ্ছে মৃত্যুদন্ড। যদিও পৃথিবীর অনেক দেশ আছে, যেখানে সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় না, কিন্তু বিশ্বের বেশির ভাগ দেশে মৃত্যুদণ্ড দেবার বিধান রয়েছে। পৃথিবীতে যতগুলি আইনি শাস্তি রয়েছে তার মধ্যে এই মৃত্যুদণ্ডের বিধানটি সব থেকে পুরাতন। তাই সময়ের সাথে সাথে এই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার পদ্ধতির পরিবর্তন হয়েছে। আমাদের আজকের চিত্র-বিচিত্রতে আমরা মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার সবচেয়ে বীভৎস পন্থার কথা তুলে ধরব।
ফাঁসি, ডুবানো, খণ্ডকরণ (Hanged, Drawn and Quartered) পদ্ধতিতে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা ইতিহাসের সব থেকে অমানবিক পন্থা। এই পদ্ধতি চালু ছিল ইংল্যান্ডে। এই পদ্ধতিতে মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামিকে একটি কাঠের সাথে বেঁধে, ঘোড়া দিয়ে টানতে টানতে নিয়ে যাওয়া হত মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার জায়গায়। এরপরে তাকে ঝুলিয়ে দেওয়া হত ফাঁসির দড়িতে।
কিন্তু মৃত্যুবরণ করার আগেই তাকে ফাঁসির দড়ি থেকে খুলে ফেলা হত। এরপরে তাকে পানিতে ডুবানো হত। এখানেও তার কপালে মৃত্যু থাকত না। এর পরে আধমরা আসামিকে হাত পা বেঁধে স্বজ্ঞানে তার পেট কেটে পেটের মধ্য থেকে ভুড়ি বের করে আনা হত।
এসময় বিশেষ ভাবে খেয়াল রাখা হত যেন কোন ভাবেই তার মূল রক্তপরিবাহি তন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, ফলে আসামির মৃত্যু তৎক্ষণাৎ হত না। এরপরে আসামির সামনেই তার নাড়িভুড়িকে আগুনে পোড়ানো হত।
এরপর ধারালো কুড়াল দিয়ে আসামির জীবন থাকা অবস্থায় তার দেহকে চার খন্ড করা হত। সব শেষে তার মাথা কেটে ফেলা হত। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই মাথা কাটার আগ পর্যন্ত আসামি বেঁচে থাকত। এরপরে তার দেহের বিভিন্ন অংশ ইংল্যান্ডের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠিয়ে দেওয়া হত, জনগণকে দেখানোর উদ্দেশ্যে।
প্রতিক্ষণ/এডি/পাভেল