মেট্রোরেলে নারী যাত্রীদের নিরাপত্তা
বিশেষ প্রতিবেদন
নতুন যুগে প্রবেশ করা বাংলাদেশ এখন মেট্রোরেলের স্বপ্নে ভাসছে। আজ উদ্বোধনের পর থেকেই পুরো দেশজুড়ে মেট্রোরেলের আলোচনা।
বহু আলোচনার মাঝে উঠে এসেছে নারীদের নিরাপত্তার প্রসঙ্গটি। মেট্রোরেলে নারীদের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে প্রতিটি ট্রেনে একটি করে কোচ শুধু নারী যাত্রীদের জন্য সংরক্ষিত রাখা হয়েছে। এতে প্রতি ট্রেনে প্রতিবার সর্বোচ্চ ৩৯০ জন নারী যাত্রী যাতায়াত করতে পারবেন।
নারী যাত্রীরা ইচ্ছা করলে অন্য কোচেও যাতায়াত করতে পারবেন। মেট্রো স্টেশনগুলোতে নারীদের জন্য আলাদা শৌচাগার ও স্নান ঘর রয়েছে এবং তাতে শিশুদের ডায়াপার পরিবর্তনের সুবিধার্থে বিশেষ ব্যবস্থাও সংযোজিত আছে। গর্ভবতী নারী ও বয়স্ক যাত্রীদের জন্য আসন সংরক্ষিত রাখা আছে।
এ বিষয়ে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা নারীদের জন্য পৃথক একটি কোচ নির্ধারণ করে রেখেছি। আমাদের নারীরা বাসে উঠতে পারে না, সেখানে তাদের নানা ধরনের অসুবিধার কথা শুনি, এজন্যই এই ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের প্রথম মেট্রোরেল বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে। যে কোনো শারীরিক অক্ষমতা থাকুক না কেন, সবাই যেন মেট্রোরেলে চড়তে পারে আমরা সেই ব্যবস্থা করেছি। এটা আমাদের সবচেয়ে বড় পাওয়া। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা রাখা হয়েছে। উন্নত বিশ্বের মেট্রোরেলে যেমন, আমাদের এখানেও ঠিক তেমনই রাখা হয়েছে।