মেলেনিয়া ট্রাম্পের সাত সতেরো

প্রকাশঃ ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৭ সময়ঃ ৩:৪৯ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ১০:০২ অপরাহ্ণ

01 melania trumpবর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত নাম ডোনাল্ড ট্রাম্প, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। স্ত্রী মেলেনিয়া ট্রাম্প বয়সে তাঁর চেয়ে ২৪ বছরের ছোট। সবার নজর এখন এই স্লোভেনিয়ান সুন্দরীর দিকে। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের সবচেয়ে লাস্যময়ী এই ফার্স্টলেডি সম্পর্কে জানা-অজানা ১৭টি তথ্য শুধুমাত্র আপনাদের জন্য-

১। মেলেনিয়ার জন্ম ১৯৭০ সালে, স্লোভেনিয়ায়। মাত্র ১৬ বছর বয়সেই মেলেনিয়া মডেলিং শুরু করেন। বিশ্বের শ্রেষ্ঠ সব ফটোগ্রাফারদের সাথে তিনি প্যারিস, মিলান ও নিউ ইয়র্কে কাজ করেছেন।

২। তাঁর ক্যারিয়ারের প্রথম দিককার একটি ফটোশুট ছিল ‘ওসেন ড্রাইভ’ ম্যাগাজিনের জন্য। এই ফটোশুটে অংশ নিতে তিনি নিউ ইয়র্কে এসেছিলেন। তিনিই প্রথম ফার্স্টলেডি যিনি ‘ন্যুড ফটোশুট’ করিয়েছিলেন!

৩। মডেলিং এবং বসবাসের প্রয়োজনে মেলেনিয়াকে বিশ্বের নানা প্রান্তে সময় কাটাতে হয়েছে। ফলে তিনি বেশ কিছু ভাষা রপ্ত করেছেন। স্লোভেনিয়ান ও ইংরেজি ছাড়াও ফ্রেঞ্চ, জার্মান ও সার্বিয়ান ভাষায় তিনি সমান পারদর্শী।

৪। ১৯৯৮ সালে নিউ ইয়র্ক ফ্যাশন উইকে প্রথম ট্রাম্প ও মেলেনিয়ার দেখা হয়। ১৯৯৯ সালে হাওয়ার্ড স্ট্রেন শো-তে একটি সাক্ষাতকার প্রচারের পর তাদের মধ্যে সম্পর্ক রয়েছে বলে গুজব ছড়াতে থাকে। ২০০৪ সালে তাদের বাগদান সম্পন্ন হয়।

৫। ২০০০ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট পদে লড়াই করার আশায় রিফর্ম পার্টি থেকে মনোনয়ন লাভের জন্য প্রচারণা চালান। তখনো তারা সাত পাকে বাঁধা পরে নি, তবুও হবু স্বামীর পক্ষে প্রচারণায় মেলেনিয়াকে দেখা যায়।02 trump melenia marriage

৬। মেলেনিয়াকে বিয়ে করার আগে ট্রাম্প আরও দুই বার ছাঁদনাতলায় গিয়েছিলেন। প্রথম স্ত্রী ইভানা ছিলেন অ্যাথলেট, সমাজকর্মী, ও ফ্যাশন মডেল। দ্বিতীয় স্ত্রী ম্যাপলস ছিলেন টিভি অভিনেত্রী। কিন্তু ফার্স্টলেডি হবার বিরল সৌভাগ্য শুধুমাত্র তৃতীয় স্ত্রী মেলেনিয়ার কপালেই জুটলো।

৭। মেলেনিয়া ট্রাম্প একজন ডিজাইনারও বটে। ২০১০ সালে নিজের ফ্যাশন হাউজ ‘মেলেনিয়া টাইমপিস এন্ড জুয়েলারি’ উদ্বোধন করেন তিনি। মাত্র ৪৫ মিনিটেই তাঁর প্রথম সংগ্রহের সব পণ্য বিক্রি হয়ে যায়।

৮। আপনি কেমন ফার্স্টলেডি হবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে মেলেনিয়া বলেন, ‘আমি প্রথাগত ফার্স্টলেডিদের মতই হব। সবসময় আমার স্বামীকে সমর্থন জুগিয়ে যাবো’। আপনার পছন্দের ফার্স্টলেডি কে? জানতে চাইলে তিনি বেটি ফোর্ড আর জ্যাকি কেনেডি’র নাম উচ্চারণ করেন।

৯। তিনি রেড ক্রস ও স্তন ক্যান্সার গবেষণা-র মত বেশ কিছু দাতব্য সংস্থার সাথে জড়িত। শিশুদের উপর পারিবারিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে তিনি সবসময় সোচ্চার। ২০০৮ সালে ‘আসুন শিশুদের ভালবাসি’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য দেন তিনি।

১০। ২০০৫ সালের জানুয়ারি মাসে ট্রাম্প আর মেলেনিয়ার আড়ম্বরপূর্ণ বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। শুধুমাত্র ফুলের পেছনেই ট্রাম্প পাঁচ লাখ ডলার খরচ করেন। বিয়ের কেকটির ওজন ছিল ৫০ পাউন্ড। মেলেনিয়া সেদিন যে গাউনটি পরিধান করেছিলেন তাঁর মূল্য ছিল। ১ লাখ ২৫ হাজার ডলার।

১১। মেলেনিয়ার বয়স ৪৫, ট্রাম্পের বড় ছেলের তুলনায় মাত্র ৭ বছর বেশি! তিনি ট্রাম্পের তিন ছেলেমেয়ে এরিক, ইভাঙ্কা এবং টিফানির সৎ মা।

১২। ২০০৬ সালে মেলেনিয়া তার প্রথম পুত্রসন্তান ব্যারনের জন্ম দেন। ট্রাম্প টাওয়ারে ব্যারনের আলাদা ফ্লোর আছে। ব্যারন তার বাবার সাথে গলফ খেলতে পছন্দ করে। মেলনিয়া ব্যারনের ডাকনাম দিয়েছেন ‘মিনি-ডোনাল্ড’।

১৩। মডেলিং ক্যারিয়ারে মেলেনিয়া অত্যন্ত সফল ছিলেন। ‘ভোগ’, ‘হারপার বাজার’, ‘ভেনিটি ফেয়ার’, ‘এলে’- ইত্যাদি বিখ্যাত ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদকন্যা হিসেবে তিনি স্থান করে নিয়েছেন। তাদের বিয়েকে ‘লাইফ এন্ড স্টাইল’ ম্যাগাজিন শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ বিয়ে আখ্যা দিয়ে প্রচ্ছদ প্রকাশ করে।

১৪। ট্রাম্পের ঐশ্বর্য আর ধন-দৌলতের কোন কমতি নেই। আর মেলেনিয়া সেগুলোকে শৈল্পিক রূপ প্রদান করতে সিদ্ধহস্ত। ট্রাম্প টাওয়ারে তাদের যে তিন-তলা বিশিষ্ট ‘পেন্টহাউজ’ আছে সেটিকে মেলেনিয়া ২৪ ক্যারট স্বর্ণ আর সুচারু মার্বেল পাথরে অলঙ্কৃত করে নিয়েছেন।

১৫। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণার সময় ট্রাম্প যখন ব্যাপক সমালোচনার সম্মুখীন হচ্ছিলেন, মেলেনিয়া তখন ট্রাম্পের পাশে দাঁড়িয়েছেন সবসময়। তিনি বলেন, ‘আমি সবসময় ট্রাম্পের উপর বিশ্বাস রাখি এবং জানি সে যে কাজে হাত দেয়, সেটাতেই সফলকাম হয়’।

প্রতিক্ষণ/এডি/নাজমুল

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G