মোটর সাইকেলে করে ওমরায় যাচ্ছে দুই তরুণ
পায়ে হেঁটে, জাহাজে, সাইকেলে চড়ে হজ ও ওমরাহ পালন করতে যাওয়া নতুন কোনো বিষয় নয়, তবে বর্তমান সময়ে আকাশ পথে শান্তির ভ্রমণ না করে কষ্টসাধ্য দীর্ঘ পথ মোটরসাইকেল পাড়ি দিয়ে ওমরাহ পালন করা সত্যিই বিস্ময়ের। ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশি দুই তুরুণ আবু সাঈদ ও মাসদাক চৌধুরী মোটরসাইকেলে পবিত্র নগরী মক্কার উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছেন।
রোডম্যাপ অনুযায়ী বাংলাদেশি দুই তরুণকে পাড়ি দিতে হবে ২০ হাজার কিলোমিটার পথ। আর এতে সময় লাগবে প্রায় ২ মাস।
পরিকল্পনা অনুযায়ী বাংলাদেশি তরুণ আবু সাঈদ ও মাসদাক চৌধুরী ডিসেম্বরের ৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বেনাপেল সীমান্ত দিয়ে নাম্বারবিহীন মোটরসাইকেল নিয়ে পবিত্র নগরী মক্কার উদ্দেশে রওয়ানা হন।
ইতিমধ্যে তারা ভারত পেরিয়ে পাকিস্তানে পৌঁছে গেছেন। পাকিস্তান থেকে ইরান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সারজা হয়ে সৌদি আরব প্রবেশ করবেন তারা। ৫ ডিসেম্বর থেকে ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত ২৩ দিনে তারা পাড়ি দিয়েছেন প্রায় ৬ হাজার কিলোমিটার পথ।
পাকিস্তানের লাহোর হয়ে বর্তমানে তারা করাচিতে অবস্থান করছেন। পাকিস্তানের বেলুচিস্তানের রাজধানী কোয়াটা হয়ে তাফতান বর্ডার দিয়ে ইরানে প্রবেশ করবেন তারা।
তবে পাকিস্তানে তাদের সপ্তাহখানেক সময় লাগবে। কারণ পাকিস্তান থেকে ইরানে প্রবেশ করতে তাদেরকে ট্রাভেল সংক্রান্ত অনুমতিপত্র সংগ্রহ করতে হবে। সেখান থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাত, শারজা হয়ে সৌদি আরব প্রবেশের পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
উল্লেখ্য যে, মোটরসাইকেলে ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্যে বের হওয়া আবু সাঈদের বাড়ি ফেনী আর মাসদাকের বাড়ি চট্টগ্রামে। ভ্রমণপিপাসু দুই বন্ধু একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরিরত। সময় পেলেই তারা বেরিয়ে পড়তো কোনো না কোনো অজানার উদ্দেশ্যে। এবার তাদের গন্তব্য সৌদি আরবের পবিত্র নগরী মক্কায় অবস্থি কাবা শরিফে। যেখানে তারা ওমরাহ পালন করবে। জিয়ারত করবে মদিনা অবস্থিত প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের রওজা।
গত ৫ ডিসেম্বর তারা বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ ত্যাগ করেন। এরপর কলকাতা, বেনারস, অমৃতসর, পাঞ্জাব হয়ে ওয়াগাহ সীমান্ত দিয়ে পাকিস্তানের লাহোর যান। বর্তমানে লাহোর পার হয়ে করাচিতে অবস্থান করছেন সাঈদ ও মাসদাক। সেখান থেকে বেলুচিস্তান প্রদেশের রাজধানী কোয়েটা হয়ে তাফতান সীমান্ত দিয়ে ইরানে প্রবেশ করবেন।
তবে, ইরানে প্রবেশ করতে পাকিস্তান সরকারের কাছ থেকে ভ্রমণ-সংক্রান্ত অনুমতিপত্র সংগ্রহের কাজে কিছুদিন করাচিতে থাকতে হবে তাদের। অনুমতি মিললেই ইরানে প্রবেশ করে সেখান থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজায় যাবেন।
প্রতিক্ষণ/এডি/শাআ