যুবলীগ চেয়ারম্যানকে প্রতিহত করার ঘোষণা বিএনপির

প্রকাশঃ মার্চ ১৯, ২০১৭ সময়ঃ ১০:০৬ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ১০:০৬ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

চট্টগ্রামের পটিয়ায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি সম্পর্কে করা বক্তব্য প্রত্যাহার না করলে যুবলীগ চেয়ারম্যানকে চট্টগ্রামে প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।

রবিবার সংবাদ মাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে তারা এ ঘোষণা দেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক একজন রাজাকারের ছেলে। তার বাবা ডা. শামসুল হুদা ছিলেন মুসলীম লীগের সক্রিয় নেতা। এরশাদ আমলে চট্টগ্রামে ২৫ জন হত্যাকান্ডের অন্যতম কারিগর ছিলেন এই ওমর ফারুক। এক সময় জাতীয় যুব সংহতির নেতা হলেও শেখ পরিবারের আত্মীয় বিয়ে করে এখন বেফাঁস কথাবার্তা বলছেন। রাউজানের বাসিন্দা হয়েও যিনি নিজ উপজেলায় অবাঞ্চিত তার মুখে বিএনপির মতো বৃহৎ একটি রাজনৈতিক সংগঠন নিয়ে কটুক্তি মানায় না। যুবলীগ চেয়ারম্যান যেসব কথা বলেছেন তা হলো অবুঝ বালকের কথা।’

নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, ‘বিএনপি জনগণের দল। দেশ যখন গভীর সংকটে পতিত হয়েছিল তখন স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানকে সিপাহী বিপ্লবের মাধ্যমে জনতা ক্ষমতায় বসিয়েছিল। রাষ্ট্রের দায়িত্ব নেয়ার পর দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তন করেন। বর্তমান আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে আসতেও সহযোগিতা করেছিলেন জিয়াউর রহমান। জিয়ার হাতে গড়া দলের উপর দেশের জনগণ সব সময় আস্থা রেখেছে। কিন্তু গণতন্ত্র এখন গণভবনের চার দেয়ালে আবদ্ধ হয়ে পড়েছে। শেখ হাসিনার স্বৈর সরকারের নিয়ন্ত্রিত শাসন ব্যবস্থার কারণে সভা-সমাবেশের সাংবিধানিক অধিকার থেকে আমাদের বঞ্চিত করা হচ্ছে। রাজনৈতিক দল হিসেবে মাঠে ময়দানে জনসভা করার মৌলিক অধিকার হরণ করে সরকার আমাদের সাংগঠনিক তৎপরতা চার দেয়ালের মধ্যে করতে বাধ্য করছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা না থাকায় দেশে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকট বিরাজ করছে। গণতন্ত্র ও আইনের শাসন না থাকার কারণেই জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ বিস্তার লাভ করছে। মানুষের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র না থাকায় বাংলাদেশ ক্রমান্বয়ে কার্যত একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। দেশে দুই ধরণের শাসন ব্যবস্থা চালানো হচ্ছে। আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ যেকোন দোষ করলে মাফ করা হয়। আর বিএনপি নেতাকর্মীদের বিনা কারণে মামলা দেয়া হয়। গণতন্ত্র নেই বলে যুবলীগ চেয়ারম্যানের মতো মানুষ বেফাঁস কথাবার্তা বলতে পারেন। আমরা চ্যালেঞ্জ দিচ্ছি, আসেন পুলিশ ছাড়া কোন ময়দানে সমাবেশ করেন। আমরাও করব। দেখা যাবে জনগণ কাদের পক্ষে।’ অবিলম্বে যুবলীগ চেয়ারম্যান তার বক্তব্য প্রত্যাহার না করলে তাকে চট্টগ্রামে অবাঞ্চিত ঘোষণা করা হবে এবং যেখানে পাওয়া যাবে সেখানে প্রতিহত করা হবে।’

বিবৃতিদাতারা হলেন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ, এম এ হালিম, অধ্যাপক ইউনুস চৌধুরী, চাকসু ভিপি মো.নাজিম উদ্দিন, আলহাজ ছালাউদ্দিন, ইসহাক কাদের চৌধুরী, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মো.নুরুল আমিন, নুর মোহাম্মদ, জসীম উদ্দিন সিকদার, এডভোকেট আবু তাহের, সেকান্দর চৌধুরী, আবদুল আওয়াল চৌধুরী, অধ্যাপক জসীম উদ্দিন, সেলিম চেয়ারম্যান, আবু আহমেদ হাসনাত, যুবদলের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক সোলায়মান মনজু, ছাত্রদলের সভাপতি জাহিদুল আফসার জুয়েল, সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম জনি।

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G